বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অটোমেশন ও পেপারলেস অফিস করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কার্যক্রম ‘বিজনেস মডেল’ অনুসারে করতে পারলে দ্রুত সাফল্য পাওয়া যাবে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) পদ্মা অয়েল কোম্পানির ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ ঠিক রেখে এবং প্রতিবেশিদের কোন প্রকার বিরক্ত না করে দৃষ্টি নন্দন এই ভবনটি করা উচিত। নির্মাণ কোড যেন যথাযথভাবে মানা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিদ্যমান সম্পদ নিরূপণের জন্য ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্ট নিয়োগ করা প্রয়োজন। সম্পদ জানা থাকলে প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা বাড়ে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় এবং প্রধান তেল স্থাপনা চট্টগ্রামে অবস্থিত। কোম্পানির ঢাকা অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৫১ সালে ৬ পরিবাগ, ঢাকায় ১.৮৮ একর জমি ক্রয় করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মেসার্স শহীদুল্লাহ এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের সুপারিশ অনুযায়ী জায়গাটির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে পরিবেশবান্ধব, অত্যাধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন একটি বহুতল ভবন (২টি বেইসমেন্টসহ ১২-তলা (G+11)) নির্মাণের জন্য বর্ণিত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এতে কোম্পানির ১.৮৮ একর জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে কোম্পানির কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য আধুনিক ও নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ করা হবে এবং অতিরিক্ত ফ্লোর স্পেস ভাড়া প্রদান করে কোম্পানির রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে টাকা ৩৯৩ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প মেয়াদ হবে ৩ বছর ৬ মাস পর্যন্ত।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এনডিসি ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।