খোঁজ মিলছে না রাজেন্দ্র কলেজের ২৫ শিক্ষার্থীর

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর | 2023-08-31 10:26:40

ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ২৫ শিক্ষার্থীর কোন খোঁজ মিলছে না। রোববার (২২ মে) দুপুরে এ তথ্য জানান কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম কুমার সাহা।

তিনি বলেন, গত দুই বছর যাবত তারা হারিয়ে গেছে। তারা কলেজে আসছে না। কোন একাডেমিক সেশনে থাকছে না। পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। তাদের মোবাইলে ফোন দিয়েও তাদের পাচ্ছি না।

‘করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ তথ্য জানান কলেজ অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা।

সেমিনারে প্রধান আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন, বর্তমানে পুরুষেরাও নারীর হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন। রাজধানী ঢাকাতে ৬০ ভাগ পুরুষ নারীর নির্যাতনের শিকার। নারীবাদি মানে পুরুষকে অস্বীকার করা না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বাবা, ভাই, স্বামী সকলেই পুরুষ। তাদেরও দরকার রয়েছে। বরং নারী শিক্ষার প্রসার দরকার এই নিগ্রহ ও নির্যাতনের প্রতিকারের স্বার্থে।

রাজেন্দ্র কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে শহরের বায়তুলআমানস্থ ক্যাম্পাসে সমাজকর্ম ভবনের ৩য় তলায় এর আয়োজন করা হয়। বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ.বিএ.এম সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস.এম. আব্দুস সালাম ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক মো. আশরাফুল আজম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুর রহমান।

সেমিনারে আলোচকগণ বলেন, দু’একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনাকালে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর করতে পারেনি। এরও নানা কারণ রয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন কাঠামো ছিলো না। শিক্ষার্থীদেরও ডিভাইস বা ডেটা ক্রয়ের সামর্থ্য ছিলো না। গ্রামে এ সময়ে সমস্যা হয়েছে বেশি।

তারা বলেন, করোনার কারণে আমাদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জ্ঞানান্বেষণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা, অবসাদ, ক্রোধ, একাকিত্ব সহ নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ না থাকায় বিশেষ করে শিশুরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশি। তাদের মাঝে মানসিক বৈকল্য দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্জন থেকে ঝড়ে যাওয়ায় বেড়েছে শিশুশ্রম। এই সাইকোলজিক্যাল ট্রমা থেকে পরিত্রাণে এখনই কার্যকর উপায় বের করতে না পারলে সামনে এর বিরুপ প্রভাব সমাজে বহুদিন বিদ্যমান থাকবে।

করোনাসৃষ্ট পরিস্থিতির বড় শিক্ষা হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাকে উপর থেকে নিচে পর্যন্ত বদলাতে হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে স্বশরীরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অপরিহার্য। এছাড়া শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ রাজনীতির চর্চা নিশ্চিত এবং শিক্ষার এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দুই তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ শুরু করা দরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর