স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ৩৭ ঘণ্টা পার হলেও এখনও জ্বলছে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর কেমিক্যাল আগুন, থামার কোন নাম গন্ধ নেই। তবে ফায়ার সার্ভিসকে আশার আলো দেখাচ্ছে ঢাকা থেকে আনা হাজমত টেন্ডার (গাড়ি)। যা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন বলেন, কন্টেইনাগুলো সরানোর জন্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট এনেছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ৬টি টিম রেডি করেছি। ৮ থেকে ১০টি কন্টেইনারে আগুন আছে। আলাদা করে আগুন নেবানো হবে। কেমিক্যাল আগুন নেভাতে ঢাকা থেকে ২টি হাজমত টেন্ডারসহ (গাড়ি) ২০ জনের টিম এসেছি।
তিনি আরও বলেন, ডিপোতে হাইড্রেন্ট সিস্টেম ছিল না। পানির লাইন থাকলে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল থাকল ৷ তারাই নিভিয়ে ফেলতে পারত। এত বড় ডিপোতে হাইড্রেন্ট সিস্টেম থাকা উচিত। শুনেছি তাদের ফায়ার সনদ নেই।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, জ্বলন্ত কন্টেইনাগুলোর পাশে একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা। তাদের মূল লক্ষ্য এখন রাসায়নিক কন্টেইনাটি নিয়ন্ত্রণে আনা।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। ১২টি বিশেষ গাড়ির সাহায্যে জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন পানি ছিটানোর কাজ চলছে। কোনো গাড়ির পানি শেষ হলে সেখানে নতুন গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আর আগুন নেভানোর পুরো কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার।