চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে আব্দুল মান্নান নামের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তাকে কম্বল চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন প্রথম স্ত্রী।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পাঁচলাইশের নাজিরপাড়া এলাকার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৮ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান ফটিকছড়ি নাজিরহাট পৌরসভার মৃত আলী আহমদের পুত্র। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফটিকছড়ি উপজেলা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার দুই স্ত্রী রয়েছে, প্রথম স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩০) দুই সন্তান নিয়ে নগরীর নাজিরপাড়ায় থাকেন।
পুলিশ বলেন, প্রথম স্ত্রী আব্দুল মান্নানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় পুলিশ মান্নানের স্ত্রী খাদিজা বেগমকে গ্রেফতার করেছেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ আরও জানান, আব্দুল মান্নানের দুই স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ফটিকছড়িতে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। গতকাল রাতে অসুস্থ ভগ্নিপতিকে নিয়ে প্রথম স্ত্রীর বাসায় আসেন মান্নান। দীর্ঘদিন ধরে ভরণপোষণ নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া চলছিল তার। রাতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে খাদিজা কম্বল দিয়ে স্বামীর মুখ চেপে ধরে। এতে শ্বাসরোধ হয়ে মান্নান সেখানেই মারা যান। প্রতিবেশীরা খাদিজার ঘর থেকে গোঙানির শব্দ শুনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে মান্নানের লাশ উদ্ধার করে খাদিজাকে গ্রেফতার করে। খাদিজা খুন করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। ঘটনার সময় খাদিজার ছেলে ও মান্নানের ভগ্নিপতি একই বাসার আরেকটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে ইফা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও স্বীকার করেছেন।