সবজির উত্তাপে নাকাল সাধারণ মানুষ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 23:22:15

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে নাকাল সাধারণ মানুষ। চাল-ডাল, চিনি, মাছ-মাংস, সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ক্রেতাদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, যেভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে বাজারে আসা দায় হয়ে গেছে। এক হাজার টাকার বাজারে দুই দিন চলা যায় না।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ ক্রেতারা খাদ্যপণ্য কিনছেন প্রয়োজনের অর্ধেক করে। তাতেও মিলছে না স্বস্তি।

বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন আকলিমা। তিনি জানান, বাজারে প্রতিটি জিনিসের যে দাম তাতে রাস্তায় বিক্রি হওয়া নিম্নমানের সবজিগুলো কিনতে হয়। অনেক সময় কম দাম পাওয়ার আশায় বাজার ভাঙার মুহূর্তে সবজি ও মাছ কিনতে আসার কথা জানান তিনি।

বাজারে ইলিশ ছাড়া প্রায় সব মাছেরই দাম বাড়তি। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নদীর মাছের দাম। বাজারে প্রতিকেজি দেশি মাগুর ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার ৬০০ টাকা ও শোল ১ হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতিকেজি টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৭০০ থেকে ৮৫০, চিংড়ি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, কোরাল ৮০০ টাকা ও তেলাপিয়া ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারও চড়া। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া বাজারে ফুলকপি ৬০ টাকা, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ঢেঁরস ৯০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কলমি শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পুঁইশাক মান অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।

খিলক্ষেত বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন রেজাউল করিম। তিনি জানান, শুক্রবার এলেই বাজার সবকিছুর দাম চড়া হয়ে যায়। সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিয়ে খেয়ালখুশি মতো দাম বাড়ায় বিক্রেতারা।

তিনি আরও বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নতুন কিছু না। প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়ে। ১ টাকা দাম কমলে; দাম বাড়ে ৫ টাকা। সবজির দাম শুনেই ক্রেতাদের ঘাম ঝরে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, সেভাবে তো আমাদের ইনকাম বাড়েনি। তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। তাতেও চলতে পারি না। দাম কোন হিসেবে বাড়ছে সেটাও ধরতে পারি না। কারো কাছ থেকে উত্তর পাই না। আগে যে পরিমাণ বাজার সদাই করতাম, এখন তার অর্ধেক করেও কুলাতে পারি না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর