উড়াল সড়কে উঠা-নামার স্থান

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-02 11:27:47

যানজট এড়িয়ে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণমুখী যানবাহনের যাতায়াত নিশ্চিতে আজ থেকে চালু হচ্ছে দ্রুতগতির প্রথম উড়ালসড়ক। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামা করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্থান থাকবে, এর বাইরে টোল প্লাজা ছাড়া চার লেনের এই সড়কে আর কোথাও যানবাহন থামানো যাবে না।

১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের প্রায় ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার যানবাহন চলাচলের খুলে দেওয়া হচ্ছে । এই অংশে বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীতে দু’টি র‌্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে।

উড়ালসড়কের কোন কোন স্থান দিয়ে ওঠানামা করা যাবে, তা গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে সেতু বিভাগ। তালিকা অনুসারে, উত্তর দিক থেকে কাওলা, প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কে আর্মি গলফ ক্লাবের সামনে- এই তিন জায়গা দিয়ে উড়ালসড়কে ওঠা যাবে। বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, ফার্মগেটে ইন্দিরা রোডের পাশে দিয়ে নামা যাবে।

দক্ষিণ দিক থেকে বিজয় সরণি উড়ালসড়কের উত্তর ও দক্ষিণ লেন দিয়ে এবং বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে ওঠা যাবে। দক্ষিণ দিক থেকে উঠে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, বনানী কামাল আতাতুর্ক সড়কের সামনে বিমানবন্দর সড়কে, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে নামা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মূল উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য র‌্যাম্পে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র‌্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। র‌্যাম্পসহ উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার। উড়ালসড়কে ১১টি টোল প্লাজা থাকবে। পুরো পথ চালু হলে তা যানবাহনে পাড়ি দিতে ২০ মিনিট লাগবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ পাড়ি দিতে লাগবে ১২ মিনিট।

উড়ালসড়ক দিয়ে আট ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে বাস, মিনিবাস, কার (সেডান), মাইক্রোবাস, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল (এসইউভি যা জিপ নামে পরিচিত), কয়েক ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ। মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যান ও বাইসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। চলতে পারবেন না পথচারীরা। এই উড়ালসড়কে চলাচলের জন্য যানবাহনের মালিককে টোল দিতে হবে। সরকার ইতিমধ্যে টোলহার নির্ধারণ করেছে। কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ছয়টি টোল প্লাজা রয়েছে।

নকশা অনুসারে, উড়ালসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তবে কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশে আপাতত যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

দ্রুতগতির এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক। আজ শনিবার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর আগামীকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে সাধারণ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি অংশ আগামী বছরের জুনে চালু করার লক্ষ্য ঠিক করছে কর্তৃপক্ষ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর