জনগণের ক্ষমতায়নটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড়: শেখ হাসিনা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 16:32:29

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'যেকোনো দুর্যোগ আসলে মোকাবেলা করবার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে। আর আমাদের দেশের মানুষও এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে সব থেকে বড়, এই শক্তিটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণের ক্ষমতায়নটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড়।'

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৫ জন সাবেক আইজিপিসহ ৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানানোর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমরা জনগণের কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছি তাতে আশা করি, তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। আবার আমরা জয়ী হব। যেহেতু আমরা জয়ী হবো—তাই আমরা সবসময় চাইবো দেশে একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা থাকুক। কোনরকম যেন গোলমাল না হয়।'

ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন সামনে—আর এখন তো আমার বড় চাচারা, বুড়া চাচারাও অনেকেই চলে গেছেন অন্যদিকে। আমাদের জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। কোন আশায় কী আশায় গেছেন জানি না। আমরাই তাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেছিলাম।’

ড. কামাল হোসেনের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি একসময় তো ছিলেন, আর এখন তো একেবারে নৌকা থেকে নেমে ধানের গোছা নিয়ে নেমে পড়েছেন। সেখানে গেছেন কোন আশায় জানি না? কোন মরীচিকার পিছনে ছুটলেন? তাও বলতে পারবো না।’

‘দুঃখ হয় যে, এরা আজকে ওই যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধী; যাদের বিচার করলাম, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, এটাই হচ্ছে সব থেকে লজ্জার এবং সব থেকে ঘৃণার। তাদের সঙ্গে আজকে হাত মিলিয়েছে। তারা আমাদের সরকারকে উৎখাত করবে—সরকারও নাকি গঠন করে ফেলবে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আধাপেট খেলেও এদেশ আমার, ভরাপেটে খেলেও এ দেশ আমার। আমি কি খেলাম কি পড়লাম, ওটা নিয়ে আমার চিন্তা নেই। আমি মানুষকে কতটুকু দিতে পারলাম। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আমার দেশের মানুষ পেটভরে খেতে পাচ্ছে কি না? তাদের মাথা গোঁজাবার ঠাঁই আছে কি-না? তাদের জীবনটা সুন্দর হচ্ছে কি-না সেটাই আমার চিন্তা। সেখানে আমি কেন দুর্নীতি করবো? তাই তারা দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি।’

‘আজকে কিন্তু সেই পদ্মা সেতু আমরা তৈরি করছি। তারপর হতে সব পরিবর্তন। বাংলাদেশ একটা অন্য উচ্চ মর্যাদায় চলে গেছে। ওই একটা সিদ্ধান্তই আমাদের নিয়ে গেছে অনেক উপরে। এখন সকলেই বাংলাদেশকে সমীহ করে।’

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের এই সমর্থন শুধু আমি না এখনো যারা কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনী তারাও নিশ্চয়ই একটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।

পুলিশ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আগামী নির্বাচনের জন্য দোয়া কামনা করে তিনি।

অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশকারীদের মধ্যে সাবেক আইজিপি ছাড়াও অন্যান্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে পিএসপি অফিসার একজন, সাবেক এডিশনাল আইজিপি ১৮জন,  ডিআইজি ২৪ , এডিশনাল ডিআইজি ৩, এআইজি ও পুলিশ সুপার ১১ এবং অতিরক্তি পুলিশ সুপার ১৩জন রয়েছেন।

উল্লেখযোগ্যরা হলেন সাবেক পিএসপি কর্মকর্তা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক আইজিপি এ টি আহাম্মেদুল হক চৌধুরী, সাবেক সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তা মো. মমিনউল্লাহ পাটওয়ারী, সাবেক আইজিপি কুতবুর রহমান, মো. শামসের আলম, এ কে এম এনায়েতউল্লাহ দেওয়ান, মো. আব্দুর রউফ, মো. আওলাদ হোসেন মিয়া, কাজী বজলুর রহমান, মো. আব্দুল হাননান, রুহুল আমিন, মুহ. আব্দুল হাননান খান, এম সানাউল হক, নুরুল আনোয়ার, এ কে এম শহীদুল হক।

সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. সরওয়ার হোসেন, আবদুর রহিম খান, নুরুল আলম, আলী ইমাম চৌধুরী, ফজলুল হক, আব্দুর রহিম, খন্দকার মোজাম্মেল হক, গোলাম মোস্তফা, লুতফর রহমান মিয়া, মতিউর রহমান, আব্দুল মান্নান, আব্দুল মাবুদ, আমূল্য ভূষণ বড়ুয়া, নাজমুল হক, ফাতেমা বেগম, বিনয় কৃষ্ণ বালা, নওশের আলী।

সাবেক ডিআইজি আবু হানিফ, দেওয়ান হাবিবুল্লাহ, সফিক উল্লাহ, খন্দকার সাহেব আলী, কাজী নজরুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান, শাহ আলম সিকদার, পি আর বড়ুয়া, তোফাজ্জল হোসেন, ওয়ালিউর রহমান, নিরাবরণ কুমার চন্দ, মোস্তফা জামাল উদ্দিন আল আজাদ, কাজী আনোয়ার হোসেন, আলতাফ হোসেন মোল্লা, চৌধুরী আহসানুল কবীর, সাজ্জাদ হোসেন, মোস্তাক হোসেন খান, সফিকুর রহমান, মকবুল হোসেন ভূঁইয়া।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, মীর নওশের আলী, মো. সিরাজুল ইসলাম, আওরঙ্গজেব খান লেনিন, নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর