মেহেরপুর-২ আসনের এমপি সাহিদুজ্জামানের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-12-05 15:51:05

গেল ৫ বছরে মেহেরপুর-২ আসনের (গাংনী) সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এর আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০২৪) দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার অস্থাবর সম্পদ ৫১ লাখ ৬৪ হাজার টাকার। যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি।

একইসাথে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে চারগুণ। তবে জমির পরিমাণের বিষয়টি হলফনামায় ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। 

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান। তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়ে পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। এ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, অস্থাবরও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।

বর্তমানে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি জমি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও মৎস্য খাত থেকে ৫ লাখ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল কৃষি জমি থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কৃষিখাত থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস্যখাত থেকে ৫ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫২ লাখ টাকার এবং ২৫ ভরি স্বর্ণ। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ৪২ লাখ, ১টি গাড়ি যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে নগদ ছিল ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ১ লাখ ২০ হাজর টাকার এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার টাকার।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্থায়ী সম্পদের মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ নিয়ে ধোয়াসা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তার কৃষি জমি ছিল ১০ বিঘা। অকৃষি জমি ৫ বিঘা ৫ কাঠা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনার স্থাবর সম্পদের ছককৃত ঘরে লেখা আছে ৯.৩৩। তবে তা বিঘায় না একরে তা স্পৃষ্ট করা হয়নি। যদি এটা একরে হয়ে থাকলে তাহলে জমির পরিমাণও বাড়বে কয়েকগুণ।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ৩৭ লাখ টাকার এবং স্বর্ণ ২৫ ভরি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। সে হিসেবে স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

তাঁর স্ত্রীর নামে জমির পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জমির পরিমাণ ছিল ৭ কাঠ। এখন তার পরিমাণ কৃষি জমি ২.২৯। তবে এখানেও তা বিঘা, শতাংশ না একরে হিসেব দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে জমির পরিমাণ স্পষ্ট হওয়ার বিষয়ে এমপি সাহিদুজ্জামানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর