এক টাকার দুর্নীতি পেলে এমপি পদ ছেড়ে দেব: সাইফুজ্জামান চৌধুরী

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-03-02 17:26:23

মন্ত্রিত্ব থাকাকালীন একটা টাকাও চুরি করেননি বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদের এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, কেউ যদি দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারে, তাহলে সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেব।

শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি দাবি করেন, হলফনামায় কোথাও বিদেশি সম্পদের বিষয়ে উল্লেখ নেই। সেজন্য বিদেশি সম্পদ হলফনামায় দেখানো হয়নি বলে জানান তিনি।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কেউ যদি এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেব। মন্ত্রী হিসেবে সরকারি গাড়ি–বাড়ি ব্যবহার করি নাই। সেগুলো সব দান করে দিয়েছি। যেহেতু আমার লোন আছে, চাইলেই আমরা বিদেশ থেকে সব করতে পারি না। কিছু না করেও দুর্নামের ভাগীদার হয়েছি। ব্লুমবার্গে বাধ্য হয়েছে, আমাদের সব ব্যবসার বিস্তারিত তুলে ধরতে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া হলেও ৫০ বছরের ওপরে আমরা বড় ব্যবসায়ী, এটা বারবার প্রমাণিত। যে লোন আছে, বিদেশের ব্যাংকে সেটা কেউ দেখলো না। বাংলাদেশের মানুষের গর্বিত হওয়া উচিত। ইউকে-আমেরিকার বাইরেও অনেক দেশে ব্যবসা আছে, যেখানে বেচাকেনার সুযোগ পাই, সেখানেই বিক্রি করি কিনি।’

যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টির বেশি সম্পত্তি নিয়ে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সম্প্রতি, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিশেষ এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশি এই রাজনীতিবিদের বিশাল সাম্রাজের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে।

এ নিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দেশ-বিদেশে আমাকে নিয়ে খবর হয়েছে। অনেকে জানতে চেয়েছিলেন কেন এতদিন নিরব ছিলাম। দেশের বাইরে থাকায় একটু দেরিতে সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ে অনেক কাজ করেছি। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, গেল সংসদের সেরা মন্ত্রণালয় ছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। এখানে অনেকে বলেন দুর্নীতির কথা। খারাপ উদ্দেশ্য থাকলে এত কাজ করতাম না।

টিআইবি নির্বাচনের সাতদিন আগে রিপোর্ট দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে দাবি করে সাইফুজ্জামান বলেন, অনেকে বলেছে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমি সুবিধা নিয়েছি। করোনায় অনেকের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি অনেকে আবার লাভবানও হয়েছে, ব্যবসা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হলে আমি খুশি হবো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর