নলতায় একসঙ্গে ছয় হাজার মানুষের ইফতার

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা | 2024-03-25 18:33:39

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় খান বাহাদুর আহছান উল্লা (র.) এর রওজা শরীফে একসঙ্গে ইফতার করেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। এখানে ধনী কে গরিব কোনো ভেদাভেদ নেই। এছাড়াও আশপাশের এলাকায় আরও চার হাজার মানুষের ইফতার পাঠানো হয় রওজা শরীফ থেকে।

নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন সূত্রে জানা যায়, নলতা পাক রওজা শরীফে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের ইফতারের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ৬ হাজার মুসল্লি রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে একই ছাউনির নিচে বসে একত্রে ইফতার করেন। আর বাকি ৪ হাজার মানুষের ইফতার এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মিশন ও বাড়িতে বাড়িতে পাঠানো হয়। সাওয়াব হাসিলের জন্য দূর-দূরান্ত থেকেও ইফতারের উদ্দেশ্যে রোজাদাররা ছুটে আসেন নলতা রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে।

তথ্যানুসারে, ১৯৫০ সাল থেকে প্রতিবছর রমজানে রওজা চত্বরে বিশাল ছাউনি তৈরি করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রমজান মাসব্যাপী এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতেন হজরত শাহ্ ছুফী খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.)। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পরও মিশন কর্তৃপক্ষের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।

স্থানীয়রা বার্তা২৪.কম’কে জানান, প্রতিবছর রমজানে ইফতার, তারাবি ও ইতিকাফ উপলক্ষে নলতা রওজা শরীফে সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে বাঁশ-খুঁটি দিয়ে টিনের ছাউনি তৈরি করা হয়। দৈনিক ইফতারিতে খরচ হয় গড়ে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। দিনে দিনে এর ব্যাপ্তি আরও বাড়ছে।

তারা বলেন, প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর থেকে ২০-২৫ জন বাবুর্চি ইফতার তৈরি বা রান্নার কাজ শুরু করেন। তা চলতে থাকে দুপুর পর্যন্ত। রমজানের আগেই প্রস্তুত করা হয় বিশাল ছাউনি। রান্না শেষে পরিবেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ছাউনির নিচে। আসরের নামাজের পরপরই ইফতারি দিয়ে শুরু হয় প্লেট সাজানোর কাজ।

এলাকার ছোট বড় সব মিলিয়ে ২০০ জন যুবক প্রতিদিন স্বেচ্ছাশ্রমে এসব কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি প্লেটে সাজানো হয় কলা, খেজুর, ফিরনি, ছোলা, চিড়াসহ নানা খাবার।

ইফতারি তৈরি করতে আসা বাবুর্চি জাহাঙ্গীর বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমরা প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে রান্নার কাজ শুরু করি। শেষ হতে প্রায় বেলা ৩টা বেজে যায়। এখানে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে ছোলা, ফিরনি রান্না করি।

স্বেচ্ছাসেবক জনি আহসান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, প্রতিবছর রমজান মাসে এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে খুবই ভালো লাগে। আমরা রমজান মাসের অপেক্ষায় থাকি। একসঙ্গে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ইফতার করে। আমাদের সৌভাগ্য এতগুলো রোজাদারের খেদমত করতে পেরে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর