কখনো মেজর কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, মূলত তিনি ভুয়া!

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2024-04-03 13:19:02

নিজেকে সব সময় পরিপাটি করে রাখতেন তিনি। তাকে কেউ চিনতেন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আবার কেউ চিনতেন মেজর হিসেবে। নিজেকে একেক জায়গায় একেক রকম পরিচয় দিতেন। কখনো ডিজিএফআইয়ের মেজর আবার কখনো উচ্চ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিতেন।

নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানার লোদীপুর গ্রামের মো. মোজাহারুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা পারভীনের (৩১) প্রতারণায় যার মূল পেশা।

অবশেষে রাজবাড়ী শহরের অনুপম মার্কেট এলাকা থেকে র‍্যাব-১০ এর জালে ধরা পড়েন এই নারী প্রতারক। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিষয়ট নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন র‍্যাব।

র‍্যাব-১০ সূত্রে জানা যায়, মুক্তার নেতৃত্বে সংঘবন্ধ একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে কখনো উচ্চ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট কখনও ডিজিএফআই এর মেজর পরিচয় দিয়ে সহজ-সরল-নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। তাদের প্রতারণার শিকার হন রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা থানাধীন ছোটবন গ্রাম এলাকার মৃত ইমাম শেখের ছেলে শেখ আব্দুল্লাহ (৩৭)।

তার কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বুঝতে পেরে শেখ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা মুক্তা পারভিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে চক্রটির সকল আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র‍্যাব -১০ এর একটি আভিযানিক দল প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। গত ১ এপ্রিল দুপুর সোয়া ২টার দিকে র‍্যাব-১০ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী জেলার সদর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ভূয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র‍্যাব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর