মানুষের শত্রুতায় গেল কলা গাছের প্রাণ!

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-04-04 16:51:11

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ব্যবসায়ীক শত্রুতার জেরে বাগানের এক হাজারের বেশি কলার ছড়িসহ কলা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী সহযোগী মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি আব্দুল আওয়াল টাঙ্গাইল কোর্টে মাজেদুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। একই ইউনিয়নের খরক গ্রামের মৃত ছোবাহানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম এই গাছগুলো কেটে ফেলেন। পরে বাগানে থাকা পাহাড়াদারের থেকে খবর পেয়ে কলা গাছের মালিক আব্দুল আওয়াল বাগানে গিয়ে গাছগুলো কাটা দেখতে পায়।

জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল বিদেশে থাকাবস্থায় মাজেদুল ও ইকবালকে নিয়ে অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় ১৭ বিঘার জমি লিজ নেন। সেখানে কয়েকটি পুকুর খনন করা হয়। পরে পুকুরের চারপাশে কলাগাছ রোপন করা হয়।

এরপর মাজেদুল আওয়ালের কাছ থেকে ২০২২ সালে ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে ২ বছর ভোগ দখলের জন্য ২টি পুকুরের কলা গাছ কিনে নেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত মঙ্গলবার ২ এপ্রিল সকালে মাজেদুল তার লোকজন নিয়ে আওয়ালকে না জানিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলে। যদিও গাছগুলো কাটার কোন শর্ত ছিল না। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বরদের অবহিত করে বিচার চান ভুক্তভোগী।


অভিযোগের বিষয়ে মাজেদুল বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এখনো মেয়াদ শেষ হয়নি, আরও কিছু দিন রয়েছে। তাই আমি গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার পরিপক্ক কলাগাছের গোড়ায় থাকা কলা গাছের পোয়া ও আগাছা পরিস্কার করেছি। কিন্তু কাটিনি। পরে জানতে পারি বড় বড় কলাগাছগুলো কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এছাড়া কলাবাগানের চুক্তি শেষ হলেও কলা বাগান ও পুকুরে ১০ ভাগ শেয়ার রয়েছে।

ভুক্তভোগি কলা গাছের মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, পুকুরে মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে কলার বাগান শুরু করাকালে মাজেদুল এসব দেখাশোনা করতো। পরবর্তীতে তাকে ১০ ভাগ ব্যবসার সাথে শেয়ার করলে তাকে সবকিছুর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সুযোগে মাজেদুল ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে টাকা পয়সা নয়-ছয় করে।

তিনি জানান, বিদেশ থেকে আসার পর মাজেদুলের কাছে হিসাব চাইলে সে তালবাহানা করে। এছাড়া তার কাছে ২ বছরের জন্য কলাগাছ বিক্রি করলেও চুক্তিতে কর্তনের কোনো শর্ত ছিল না। সে স্থানীয় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে কলা গাছগুলো কেটে ফেলে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, স্থানীয়দের কাছে জেনেছি মাজেদুল ইসলামসহ আরও দু’একজন আওয়ালের পার্টনার ছিল। তারমধ্যে মাজেদুল ও কলাগাছের মালিক আওয়ালের সাথে বেশকিছু দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, কলা গাছ কাটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর