‘কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না’ তাপসকে উদ্দেশ করে খোকন

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-05-18 13:37:11

ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ‘কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না’ বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসসিসি'র সাবেক মেয়র এবং ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাঈদ খোকন।

এ সময় একে অপরকে দোষারোপ না করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন এ সব কথা বলেন।

‘মেয়র মো. হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে মো. সাঈদ খোকন বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু, আমাদের সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকজনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজের ব্যর্থতাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা না করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, সামনে ডেঙ্গুর যে ভয়াবহতা আসছে, সেটিকে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে চাই। আমরা বরং একে অপরকে দোষারোপ না করি! দোষারোপের রাজনীতি না করে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমরা একটি সুন্দর, নিরাপদ ঢাকা চাই। আমাকে কর্তৃপক্ষ যখনই ডাকবে, আমি তখনই হাজির হয়ে যাবো।

বর্তমান ডিএসসিসি মেয়রকে উদ্দেশ করে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, দুই, তিনদিন আগে বর্তমান কর্তৃপক্ষ বললেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যে আমি কষ্ট পেয়েছি!

আমরা গত বছর (২০২৩) দেখেছি, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখের বেশি ছিল। সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭শ ৫ জন। পত্র-পত্রিকাতেও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল। বর্তমান ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে, সেটির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের কোনো মিল নেই।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে ছিলাম। ২০১৯ সালে থেকে ডেঙ্গু বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও আমি ডেঙ্গু আক্রান্তের এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে পারিনি। কিন্তু আমি চেষ্টা না করে বিদেশে চলে যাইনি। আমি জনগণের সঙ্গে ছিলাম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর