'দেশে অধিকাংশ থায়রয়েড রোগী থাকে চিকিৎসার বাইরে'

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা | 2024-05-24 20:41:09

দেশে বর্তমানে অধিকাংশ জনগোষ্ঠী থায়রয়েড রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জানে না যে তারা থায়রয়েড সমস্যায় ভুগছে। ফলে, থায়রয়েড আক্রান্ত রোগীর বড় একটা অংশ থাকে চিকিৎসার বাইরে।

শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বিশ্ব থায়রয়েড দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আলোচকেরা এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির থায়রয়েড টাস্কফোর্স।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও থায়রয়েড টাস্কফোর্সের কোঅর্ডিনেটর ডা. শাহজাদা সেলিম। তিনি বলেন, থায়রয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন মানব পরিপাক প্রক্রিয়ায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে। ভ্রূণ অবস্থা থেকে আমৃত্যু থায়রয়েড হরমোনের প্রয়োজন অপরিহার্য। এ হরমোনের তারতম্যের জন্য শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, শরীর মোটা হওয়া, ক্ষয় হওয়া, মাসিকের বিভিন্ন সমস্যা, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, হার্টের সমস্যা এবং চোখ ভয়ংকরভাবে বড় হয়ে যেতে পারে। বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ হিসেবে থায়রয়েড হরমোনের তারতম্যকে দায়ী করা হয়। শারীরিক কার্যক্ষমতা সঠিক রাখার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় এ হরমোন শরীরে থাকা একান্ত জরুরি। তাই থায়রয়েড নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ডা. শাহজাদা সেলিম আরও বলেন, বাংলাদেশে থায়রয়েড সমস্যার সকল ধরনকে এক সঙ্গে হিসেব করলে তা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি হবে। তবে পরীক্ষার আওতায় না আসায় অধিকাংশ রোগী চিকিৎসা সেবার বাইরে থাকে। আক্রান্ত অনেক রোগী জানেই না তারা থায়রয়েড সমস্যায় ভুগছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, থায়রয়েড টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ডা. আফিয়া যায়নব তন্বী প্রমুখ।

জানা গেছে, ২৫শে মে বিশ্ব থায়রয়েড দিবস। ২০০৯ সাল থেকে সারা বিশ্বে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে দিবসটি উদ্‌যাপিত হলেও থায়রয়েড রোগ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো গত কয়েক বছর ধরেই দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘থায়রয়েড রোগ, অসংক্রামক রোগ’।

এ সম্পর্কিত আরও খবর