রোববার রাতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ 

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-05-25 13:28:50

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে আজ ভোরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হয়ে সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তীতে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল রোববার (২৬ মে) মধ্যরাত নাগাদ বাংলাদেশের কুয়াকাটা হতে পশ্চিম-বঙ্গের দীঘার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সজল কুমার রায়।

তিনি জানান, গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের মংলা সমুদ্রবন্দর হতে ৫৪০ কি.মি., পায়রা সমুদ্রবন্দর হতে ৪৯০ কি.মি. দক্ষিণে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হতে ৫৬৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ দিয়ে অতিক্রমের সময় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২২০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

এছাড়া বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, ২৬ মে এবং তৎপরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' দেশের উপকূল হয়ে ভূমি সমতল অতিক্রমের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে। ফলে, আগামী ৭ দিনে (২৫ মে হতে ৩১ মে) দেশের উজানে এবং অভ্যন্তরে সম্ভাব্য ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রমকালীন সময়ে চন্দ্রের অবস্থানগত কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানি সমতল কিছুটা বেশি থাকবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেমাল খুলনা থেকে পটুয়াখালীর খেপু পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে আঘাত হানতে পারে। অপেক্ষাকৃত বেশি এলাকা ধরে ঘূর্ণিঝড়টির বিস্তৃতি থাকতে পারে। সমুদ্র উপকূলের সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে নিম্ন চাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা কলাপাড়ায় মেঘলা আকাশ। এক ধরনের গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। সাগরের তীরে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। পানির তীব্রতা বাড়ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সতর্ক করছে। এই মুহূর্তে সাগরে নামা ও গোসল করা থেকে বিরত থাকতে মাইকিং করছে। ওইে এলাকায় ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। তবে বাতাসের তেমন কোনো চাপ নেই। উপকূলীয় এলাকার অনেক স্থানে যে কোনো সময় অস্থায়ী দমকা হাওয়া, ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে সমুদ্রে মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার নিরাপদে রয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য সংশ্লিষ্টরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর