স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের লগো, ছবি: সংগৃহীত

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের লগো, ছবি: সংগৃহীত

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ)  ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 

বুধবার (২৬ জুন) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত বিশেষ দরবারে প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশ, মহাপরিচালক আনসার ও ভিডিপি, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং এসএসএফ এর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই এসএসএফ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, স্বাগত বক্তব্যে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ বাঙালি জাতির সবচেয়ে দুভার্গ্যময় রাত ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এ শাহাদৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদদের। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারী সব বীর শহীদদের যারা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনেন আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা।

মহাপরিচালক, এসএসএফ তার বক্তব্যে এই বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সবার মাঝে তুলে ধরেন। মহাপরিচালক জানান, উন্নয়নের মহাসড়কে নিজেদের অবস্থানকে সুসংহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুশাসন এবং সুদূরপ্রসারী দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এসএসএফ এ সংযোজিত হওয়া অত্যাধুনিক ভিআইপি প্রটেকশন ইকুইপমেন্টসমূহ এ বাহিনীকে বিশ্বের একটি অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী নিরাপত্তা বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে। তিনি এ বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সদা সানুগ্রহ ও সুদৃষ্টির জন্য সব সদস্যের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও মহাপরিচালক, এসএসএফ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত বৈদেশিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্ব পালনকালে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দরবারে প্রধানমন্ত্রী অত্র বাহিনীর সব সদস্যদের দক্ষতা, নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়নতা, আনুগত্য, পেশাদারিত্ব ও নৈপুণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জনসাধারণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয় বরং জনসম্পৃক্ততা স্বাভাবিক রেখেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। ভবিষ্যতেও এই বাহিনীর সদস্যবৃন্দ অতীতের ন্যায় প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ও সরাসরি নেতৃত্বে পরিচালিত এ বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য যে, দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের দৈহিক নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই বাহিনীকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি এই বাহিনীর সদস্যগণ প্রশ্নাতীত আনুগত্য, নিষ্ঠা এবং অকৃত্রিম বিশ্বস্ততার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে প্রেষণে নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স গঠিত।

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে এসএসএফের মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর পাঁচবার সরকার গঠনের পূর্বের শপথ গ্রহণের ছবি সম্বলিত প্রতিকৃতি 'স্বপ্নের রূপকার' এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের নৌকার রেপ্লিকা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।