রংপুরে তীব্র তাপদাহে নাজেহাল জনজীবন

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2024-05-25 15:58:44

চলতি বছরের মধ্যে রংপুরে টানা কয়েকদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠা নামা করছে। অসহ্য এ তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘুম থেকে উঠেই দেখতে হচ্ছে দুপুরের উত্তাপে সূর্যের দৃশ্য। এমন গরমে বাসার বাইরে শিশুদের অযথা না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু চিকিৎসকবৃন্দ। বৈরী আবহাওয়ায় জ্বর-সর্দিসহ বিভিন্ন রোগ বালাই বেড়েছে।

এদিকে জীবিকার তাগিদে এই রোদের উত্তাপে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। তবে সৌখিন লোকজনদের ঘোরাফেরা বা কেনাকাটায় সমাগম কমেছে। কর্মজীবী মানুষ বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালক ও মাঠে কাজ করা শ্রমিকদের অবস্থা নাজেহাল। রোদে পুরে ঘাম ঝড়িয়ে পেটের তাগিদে ছুটে চলছে তারা। রোদের তাপে সকলেই একটু ছায়ার জন্য পাগল।

রিকশাচালক আবুল কাশেম বলেন, 'হামার রোইদ আর বৃষ্টি প্যাটতো মানে না। রিকশা নিয়া বাইর হওয়া লাগে। যে রোইদের তাপ সহ্য করার মত না। একটা ভাড়া মাড়ি মনে হয় একটু জিরাবার পারলে দম ফিরি পাও।'

বোদলাপারায় ধান কাটার বেশকয়েকজন শ্রমিক বলেন, 'প্যাটের ভোগ মানে না রোইদ। সকালে উঠিয়া কাজত না আসলে খামো কি? মাঠে রোইদের তাপ চামড়া পুরি যায়ছে। এইজনতে শাড়ির উপরে শার্ট গায়ে দিয়া কাজ করি।'

ছায়ায় দাঁড়িয়েও শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে। সড়কের পাশে অটোরিকশা চালক আব্দুল জলিল বলেন, 'নিচ থেকে আসছে সড়কের তাপ আর উপর থেকে আসছে সূর্যের তাপ। দুইয়ে মিলে জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমন গরম হলে সড়কে টেকাই মুশকিল।'

এদিকে গরমের প্রভাবে বেড়েছে কোল্ড ড্রিংক্স, জুস ও স্যালাইনে বিক্রি। এছাড়াও তরমুজ, বাঙ্গি তালের শাঁস ও ডাবের চাহিদাও বেড়েছে। রংপুরে চলতি বছরে গড় তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৬ ডিগ্রীর মধ্যেই উঠানামা করছিল। বৃষ্টিপাত বছরে স্বাভাবিক হলেও সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। দেখা দিয়েছে তাপদাহের। এ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রংপুরে ৩৯ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গরমের প্রভাব বেড়েছে। সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপে আবহাওয়ার তারতম্য হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর