ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝালকাঠিতে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝালকাঠি | 2024-05-25 18:58:09

ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। এতে সুগন্ধা, বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

শনিবার (২৫ মে) সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই হয়েছে।

ঝালকাঠির কলেজ খেয়াঘাটের ট্রলার চালক মো.রুবেল বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আজকে জোয়ারের পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক নিম্ন অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।

সরই এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় শুনলেই আতঙ্কে থাকি। রেমালের নাম শুনেছি এখন দেখি নদীর পানির উচ্চতাও বাড়ছে। পানি যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে আর যদি দেড় থেকে দুই ফুট পানি বাড়ে তাহলে বাড়িঘরে পানি ঢোকা শুরু করবে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে আশ্রয়ের জন্য জেলায় ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দল।

এছাড়া নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য ৪'শ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে। সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারির ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর