গাবতলীতে নির্ধারিত সময়ে কোচ ছাড়া নিয়ে শঙ্কা

, জাতীয়

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-06-15 19:28:20

গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে: রংপুর ও গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশে শনিবার ভোরে ছেড়ে আসা বাসগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় পৌঁছতে পারেনি। কোচগুলো কালিয়াকৈর, মির্জাপুরে আটকে রয়েছে। যে কারণে আজকে রাতের বাসের সিডিউল ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আনিসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকালে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো দুপুরের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছার কথা। ওই বাসগুলো সন্ধ্যার দিকে যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার কথা থাকলেও কোচগুলো এখনও ঢাকায় পৌঁছতে পারেনি। সন্ধ্যা হতে চলেছে এখনও না এলে রাতের গাড়িগুলো কিভাবে ছাড়ব?

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সিডিউল মোটামুটি ঠিক আছে বলা যায়। তবে রাত নিয়ে চিন্তায় আছি, টিকিট কেনা যাত্রীরা এসব কথা শুনতে চান না।

এসআর ট্রাভেলসের টিকিট মাস্টার সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, উত্তরবঙ্গের যাওয়ার রাস্তার থেকে ফেরার পথে জ্যাম বেশি, যে কারণে গাড়িগুলো নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় ফিরতে পারছে না। এখন পর্যন্ত ননএসি গাড়ির সিডিউল ঠিক রয়েছে, তবে এসি গাড়ি কিছুটা দেরিতে ছাড়ছে।


তিনি বলেন, ঢাকায় প্রবেশের মুখে আমিনবাজারে অনেক সময় লাগছে। এই অবস্থা দূর করা না গেলে রাতের বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হবে না।

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান শনিবারও (১৫ জুন) খোলা থাকায় আজকে অফিস শেষ করে অনেকেই ছুটছেন গ্রামে। অনেক যাত্রী আসছেন টিকিটের জন্য, তবে কাউন্টারগুলো তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।

নামিদামি কোম্পানির বাসের টিকিট না মিললেও কিছু লোকালবাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ খোলা ট্রাকে যাত্রী হয়ে রওয়ানা দিচ্ছেন।

সুজন নামের এক যাত্রী জানান, ৬টি গাড়ির কাউন্টার ঘুরলাম কোথাও টিকিট নেই। বলা হচ্ছে রাতের টিকিট নেই, কালকের টিকিটও নেই। তারা বলছেন, রাতে যদি গাড়িগুলো নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারে তাহলে বাড়তি বাস ছাড়া হবে। তখন এলে টিকিট পাবেন। সেই আশায় থাকা কঠিন, সে কারণে লোকাল গাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। লোকাল গাড়িগুলোর সমস্যা হচ্ছে তারা কখন ছাড়বে তার গ্যারান্টি নেই, আবার যাত্রী একবারে বোঝাই করে তোলে।


রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উদ্দেশে গাবতলী থেকে বাস ছেড়ে যায়। পাশাপাশি ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু জেলার বাস পাওয়া যায় এখানে। এক সময় বরিশালের বাস চলচল করলেও পদ্মা সেতুর পর বন্ধ হয়ে গেছে।

অন্যদিকে রাজধানীর মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকেও যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর একমাত্র নদীবন্দর সদরঘাটের অবস্থা বেশ জটিল। সদরঘাটমুখী প্রায় সব সড়কে ভয়াবহ জট তৈরি হয়েছে। গুলিস্তান, পুরানঢাকা পার হতেই কয়েকঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর