মতিউরের স্বজনদের সম্পদের পাহাড়, দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে হতবাক গ্রামবাসী!



এস এল টি তুহিন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরিশাল
মতিউরের গ্রামের দ্বিতল আলিশান বাড়ি

মতিউরের গ্রামের দ্বিতল আলিশান বাড়ি

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সময়ে দেশের আলোচিত ঘটনা 'ছাগল কাণ্ড' ঘটনার মূল চরিত্রে আসীন হওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের জন্ম বরিশালের মুলাদী উপজেলায় বাহাদুরপুর গ্রামে। নিজ গ্রামের মানুষ তাকে চেনেন পিন্টু নামে।

পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলায় খালা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা মতিউর রহমান পিন্টুর সম্পদের পাহাড় এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে পুরো গ্রামজুড়েই চলছে সমালোচনার ঝড়। একজন স্কুল শিক্ষকের সন্তান হয়ে কীভাবে গড়েছেন এতো সম্পদের পাহাড় সেই প্রশ্নে হতবাক গ্রামবাসী।

নিজ গ্রাম মুলাদীতে তেমন সম্পদ নেই মতিউর রহমান পিন্টুর নামে। তবে স্বজনদের রয়েছে বাড়ি, গাড়িসহ অঢেল সম্পদের পাহাড়। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে মতিউর রহমান পিন্টুর হাত ধরে। স্থানীয়দের দাবি, মতিউর রহমান রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পরপরই অর্থ-সম্পদে ফুলে ফেঁপে ওঠেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।

বুধবার (২৬ জুন) সরেজমিনে মুলাদীর কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপর গ্রামে দেখা যায়, মতিউর রহমানের গ্রামের বাড়িতে দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল আলিশান বাড়িসহ রয়েছে দৃষ্টিনন্দন নানান স্থাপনা। খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতু পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন মাদ্রাসা ও মসজিদ। একপাশে তিনতলা মাদ্রাসা এবং অপরপাশে দ্বিতল মসজিদ। দুটি স্থাপনার মাঝেই রয়েছে বিশাল দৃষ্টিনন্দন গেট। সেই গেট পার হয়ে যেতে হয় মতিউর রহমান পিন্টুর বাড়িতে। তবে বুধবার বিকেলে সেই বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি কাউকে। বাড়ির কলাপসিবল গেটে ঝুলছে তালা। ভেতরে লোক থাকলেও সাংবাদিক দেখেই লুকিয়ে পড়েন তারা।

মতিউর রহমান পিন্টুর বাড়ির দক্ষিণ দিকে রয়েছে রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ। তার পাশেই তিনতলা একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। যা ব্যবহার করা হচ্ছে কলেজ ভবন হিসেবে। এদিকে, পিন্টুর বাড়ির সামনে দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে যাওয়া খালের দুই পাড় বাঁধানো হয়েছে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে। খালের দুই পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে পৃথক দুটি পাকা রাস্তা। খালের দুই পাড়ের প্রতিটি বাড়ির সামনে বাঁধানো হয়েছে অসংখ্য ভানায় খাটলা। খালের ওপর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি সেতু।

স্থানীয়দের দাবি, নিজের এবং স্বজনদের বাড়িঘর রক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান পিন্টুর প্রচেষ্টায়।

মতিউর রহমান পিন্টুর মেঝ ভাই কাইয়ুম শের হাওলাদার। যিনি একসময় শিক্ষকতা করলেও বর্তমানে ঢাকার বড় শিল্পপতি। মুলাদী পৌর এলাকায় থানার পাশেই রয়েছে তার দোতলা বাড়ি। গ্রামে আসলে ওই বাড়িতেই থাকেন কাইয়ুম হাওলাদার।

বরিশাল মুলাদীর প্যাদারহাট বাজারে পিন্টুর ছোটভাই নুরুল হুদার রয়েছে বহুতল ভবন। সেই ভবনেই পিন্টুর মায়ের নামে চালু করা হয়েছিল একটি ক্লিনিক। স্থানীয়দের দাবি, ক্লিনিকটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে গ্রামে অনেক জমিও রয়েছে পরিবারের সদস্যদের। এসব সম্পত্তি মতিউরের পরিবার করলেও এর প্রকৃতি মালিক কে তা জানা নেই কারোর।

স্থানীয়দের দাবি, সকল প্রতিষ্ঠানই গড়ে তোলা হয়েছে পাওলাদার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। এমনকি সেই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই পরিচালনা হচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এ ফাউন্ডেশনে কারা জড়িত এবং অর্থের উৎস কী জানা নেই গ্রামবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুস ছত্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মতিউর রহমান নামেই পরিচিত এনবিআরের সাবেক সদস্য পিন্টুর বাবা হাকিম হাওলাদার একসময় ঢাকার টঙ্গীতে একটি কারখানায় চাকরি করতেন। সেখান থেকে এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। অবসরে গিয়ে কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর দায়িত্ব পালন করেন টানা ৯ বছর। গ্রামে যে বাড়িটি নির্মাণ করেছে সেটা হাকিম হাওলাদারের নির্মাণ করা, দাবি আব্দুস ছত্তারের। তবে মতিউর ও তার পরিবার কীভাবে এতো অর্থ সম্পদের মালিক হলেন তা জানা নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০৩ সালে কাজিরচর ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন মতিউরের বাবা হাকিম হাওলাদার। জীবদ্দশায় তিনি কাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। মুলাদী উপজেলা ১৪ দলের বর্তমান সমন্বয়ক ইউসুফ আলীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আবার ওয়ান-ইলেভেনের সময় চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ শেষ হলেও নানা উপায়ে আরও প্রায় চার বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকেন হাকিম।

অপরদিকে, স্কুলজীবন থেকেই মেধাবী ছিলেন মতিউর। তবে পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মুলাদীর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলায় খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পরিবারে ৩ ভাই আর ২ বোনের মধ্যে বড় মতিউর রহমান পিন্টু বিএনপি শাসনামলে বিএনপি নেতা মোশারেফ হোসেন মঙ্গুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।

রাজস্ব ক্যাডারে যাওয়ার আগে ১১তম বিসিএসে ট্রেড ক্যাডারে চাকরি হয়েছিল তার। ট্রেড ক্যাডার বিলুপ্ত হলে পছন্দ অনুযায়ী অন্যান্য ক্যাডারে যাওয়ার সুযোগ পান ট্রেড ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আর রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে মতিউরের যোগদানের পর এই পরিবারকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, মতিউর রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত হাকিম হাওলাদারের পরিবারে তেমন সচ্ছলতা ছিল না। গ্রামে জায়গা-জমির পরিমাণও খুব বেশি ছিল না। তবে ৯১-পরবর্তী বিএনপির শাসনামলে রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে মতিউরের উত্থানের পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে এই পরিবারের অর্থবিত্তের চিত্র।

তারা আরও জানান, মতিউর রহমানের মেজভাই কাইয়ুম হাওলাদারের শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। ভাই রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পর সম্পদের পাহার গড়ার মিশনে নামেন তিনি। রাজধানী ঢাকার টঙ্গীতে গড়ে তোলেন ট্রাভেল ব্যাগ তৈরির কারখানা। ছাগল কাণ্ডের আগে অর্থাৎ ঈদের একমাস আগেও সোনালী ব্যাংক থেকে বড়ভাই মতিউর রহমানের প্রভাবে তিনশত কোটি টাকার লোন নেন কাইয়ুম হাওলাদার। বাবা বিএনপি নেতা হলেও সম্প্রতি মুলাদীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজের নাম লেখান কাইয়ুম। অর্থবিত্তের প্রভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আধিপত্য। বাবাকে চেয়ারম্যান বানাতে প্রচুর টাকা খরচ করেছিলেন মতিউর। কারণ ২০০৩ সালে মতিউর ছাড়া তখন অন্য ভাইয়েরা স্বাবলম্বী ছিলেন না।

এদিকে, মতিউর ঢাকার বিত্তশালী হওয়ার বিষয়টি জানলেও তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানা ছিল না এলাকাবাসীর। মতিউরের গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী মাসুম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মতিউর রহমানের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তাদের খুব একটা যাতায়াত নেই। গ্রামের বাড়িটি দেখাশোনার জন্য একজন কেয়ারটেকার রয়েছে। তার বাড়িও খুলনায়।

তিনি জানান, ২০১৮ সালে মতিউর রহমানের বাবা আবদুল হাকিম হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন। তখন মতিউর রহমান বাড়িতে এসেছিলেন। পরের বছর মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে আসেন। বাড়িতে তার ছোট ভাই নুরুল হুদা ও মেজ ভাই কাইয়ুম হাওলাদার মাঝেমধ্যে আসেন। তিনি জানান, নুরুল হুদা ঈদের এক দিন আগে এসে কোরবানি দিয়েছেন। পরে আবার ঢাকায় ফিরে গেছেন।

বাহাদুরপুর রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান বার্তা ২৪.কমকে বলেন, 'এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মতিউর রহমান। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হয়েছে। এখানের বর্তমান সভাপতি মতিউর রহমান। তবে আমি যোগদান করেছি প্রায় ৮ মাস। এর মধ্যে একবারের জন্যও গ্রামে আসেননি তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হলে তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। বর্তমান ঘটনার পর থেকে তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাহাদুরপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় খাল ভরাট করা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষক এবং জনপ্রতিনিধিরা বিরোধিতা করলেও সুফল পাননি তারা। মতিউর রহমানের প্রভাবের কাছে হার মানতে হয় তাদের।

এ প্রসঙ্গে মুলাদীর কাজিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি গড়ার সময় এলাকার কৃষকেরা প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। জোয়ার-ভাটার খাল আটকে দেওয়ায় শুকনো মৌসুমে ফসলি জমিতে সেচ দিতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

দেশজুড়ে বজ্রসহ ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে আরো জানানো হয়, সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে বান্দরবানে ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

;

বান্দরবানে গোপন বৈঠকের অভিযোগে ৭ জন আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: আদালতে জামাত-শিবির সন্দেহে একজন আইনজীবীসহ ৭ জন আটক

ছবি: আদালতে জামাত-শিবির সন্দেহে একজন আইনজীবীসহ ৭ জন আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে একটি রিসোর্টে গোপন বৈঠকের অভিযোগে জামাত-শিবির সন্দেহে একজন আইনজীবীসহ ৭ জন আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) রাতে দিকে বান্দরবান শহরের কাছে যৌথ খামার এলাকায় নীলাদ্রী রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে আটককৃতদের বান্দরবান সদরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আটককৃতরা হলেন অ্যাডভোকেট শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, নীলাদ্রি হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক মো: ইউনুছ মিয়া, মো: আশরাফুল ইসলাম, বান্দরবান মডেল একাডেমীর শিক্ষক হাফেজ ইমরান, ভালাকাটা মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও নুরুল আফসার।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুল জলিল বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ নীলাদ্রি রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে একজন আইনজীবীসহ সাতজনকে আটক করে। তারা ওই সময় গোপন বৈঠক করছিল বলে ডিবি পুলিশের কাছে খবর আসে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিল ভিউ মেডিকেল সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখান থেকে সবাই রাতের খাওয়ার জন্য নীলাদ্রি রিসোর্টে যায়। সেখানে ডিবি পুলিশ গিয়ে সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

;

বাড়িতে ঢুকে তরুণের হাত-পায়ের রগ কাটল সন্ত্রাসীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
বেগমগঞ্জ মডেল থানা

বেগমগঞ্জ মডেল থানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বেলাল হোসেন ওরফে সাকিব (২০) নামের এক তরুণের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আমানউল্ল্যাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাচিহাটা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

আহত সাকিব একই গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মুহম্মদ শহীদুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় সুলতানপুর স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসা শাখার ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার কাচিহাটা গ্রামের মো. তামিম (১৯) মো. জাকির হোসেন (১৮) ও সাকিব (২০) সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন একই গ্রামের শাহাদাত হোসেন সাপিম (২০) নামে এক তরুণকে গুলি করে বলে অভিযোগ করেন তারেক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে সাপিম অনুসারী তারেক বাহিনীর প্রধান তারেক ও শান্তসহ ১০-১২ জন সাকিবের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় তারা সাকিবকে বাথরুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বাহিরে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সাপিম ও তারেকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে ব্যস্ত পাওয়া যায়।

বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কুতুব উদ্দিন লিয়ন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের দিকনির্দেশনা এই বাজেট: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি। এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না। জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, তা পালন করি। এই বাজেট প্রণয়নকালীন আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটির অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিকনির্দেশনা- সেটাও বাজেটে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য স্থির করেছি তা তুলে ধরা হয়েছে এই বাজেটের মধ্যে। ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমারা যে পরিকল্পনা করেছি তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের সেই ধাবাহিকতা আমাদের আছে।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনো পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট! আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই (বড় বাজেট বাস্তবায়ন) সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কী? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। তারা বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন।

;