কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে: মোমেন

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম | 2024-06-20 20:13:23

কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এই দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ হয় না। তার ফলে খরচ বাড়ে, জনগণের হয়রানি বাড়ে। আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে উঠেছেন এবং তাতে জনগনের হয়রানি বাড়ছে বলে মনে করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট অধিবেশনের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

একে মোমেন বলেন, এই অল্প সংখ্যক দুর্নীতি পরায়ণ আমলাদের জন্য সারা আমলাতন্ত্র বদনামের ভাগিদার হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এই বাজেটে দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার বন্ধের নির্দেশনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক হবে। সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি। কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে, মাঠে ময়দানে সাধারণ নাগরিকদের সাথে আমাদের সম্পর্ক। সাধারণ নাগরিক এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছেন। তাই তারা সবাই জাতির আস্থা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, সাধারণ নাগরিকের মধ্যে বড় প্রশ্ন রয়েছে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, অধিকতর কর্মসংস্থান, রাজস্ব বৃদ্ধি ও রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি ও প্রশাসনের হয়রানি নিয়ে।

তিনি বলেন, দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মক্ষণ লোক বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা সৃষ্টি সাধারণত প্রাইভেট সেক্টর করে থাকে। সেজন্য তাদের যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ নেয়ার সুযোগ থাকা উচিত। এবারের বাজেটে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ১,৩৭,০০০ কোটি টাকা সরকার ব্যাংকিংখাত থেকে ঋণ নিচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে বেসরকারী বিনিয়োগকারীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

মোমেন বলেন, ইতিমধ্যেই ব্যাংকের বেহাল অবস্থা। বাজেটে এর প্রতিকারের কথা থাকলে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতো। বরং কালো টাকাকে শতকরা ১৫% কর দিয়ে সাদা করার ঘোষণায় যারা সৎ করদাতা তারা হতাশ হয়েছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগের পরিমার্জণ প্রয়োজন বোধ করি।

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অর্জনে, সাদাকে সাদা, কালকে কালো না বললে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অবিচার করা হয়। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পুরণে যা যা করা প্রয়োজন তা করবেন বলে বিশ্বাস করি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর