কুষ্টিয়ায় তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, ২৫ কোটি টাকার ক্ষতির শঙ্কা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পদ্মায় পানি বাড়ছে। এতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পদ্মার চরের অন্তত ৩৪টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় পদ্মার চরের ভাঙন ও বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। নিম্নাঞ্চলের জমিতে চাষ করা মাসকলাইয়ের ক্ষতি হয়েছে। সঙ্গে মরিচ, কলাসহ অন্যান্য সবজিতেও পড়েছে এর প্রভাব। অন্তত ২৫ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

চরের পানিবন্দি হয়ে পড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রমের বিষয়ে খোঁজ নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এখনো স্বাভাবিক।

দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামের আশপাশে পানি চলে এসেছে। চলাচলের রাস্তার ওপরে পানি উঠে গেছে। তবে এখনও বসতঘরে পানি প্রবেশ করেনি। চরের আবাদি জমি সব ডুবে গেছে।


রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল জানান, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ১৬টি গ্রামের চারপাশে পানি চলে এসেছে। তাদের ইউনিয়নের পদ্মার চরের প্রায় সব আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। এতে মাসকলাই চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মরিচা, ফিলিপনগর, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের এক হাজার ৬২০ হেক্টর জমির মাসকলাই ডুবে গেছে। এতে অন্তত ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া মরিচ ৭০ হেক্টর, কলা ৭৩ হেক্টর ও সবজির ১৩ হেক্টর জমি পানিতে ডুবেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ এখনই করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

এছাড়া এবার চরের ২ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ করেছিলেন কৃষকরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, আপাতত আর পানি বাড়ার আশঙ্কা নেই। দু-এক দিন স্থিতিশীল থেকে পানি কমতে শুরু করবে। তিনি বলেন, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ১২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়া এলাকাগুলোর খোঁজ রাখছি।