বিদেশি নাগরিকেরা ১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-06-24 17:45:05

২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে ১শ ৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয়সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই।

কোনো সূত্রের উল্লেখ না করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে ১শ ৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

কোন দেশের নাগরিকেরা কত ডলার নিয়েছেন, সে তথ্য জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের নাগরিকেরা ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, চীনের নাগরিকেরা ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার নাগরিকেরা ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপানের নাগরিকেরা ৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ার নাগরিকেরা ৬.২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডের নাগরিকেরা ৫.৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ৩.৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের নাগরিকেরা ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ৩.১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ার নাগরিকেরা ২.৪০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

এমপি আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংসদে জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে, তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি।

অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রবমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর