গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-06-27 12:55:08

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত রাজধানীর মোহাম্মপুরে অবস্থিত সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি।

তবে, সিটি করপোরেশনের অভিযান শুরুর আগেই নিজেরাই সেখান থেকে বেশ কিছু গরু সরিয়ে নিয়েছে সাদিক এগ্রো। এছাড়া খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা অস্থায়ী কিছু স্থাপনাও সরিয়ে নিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, অভিযানের সংবাদ পেয়ে রাত থেকেই গরু-ছাগল সরিয়ে নিয়েছে সাদিক এগ্রো। এছাড়া রাস্তার ওপরে তাদের প্যান্ডেল ছিল, অস্থায়ী স্থাপনা ছিল সেগুলোও তারা সরিয়ে নিয়েছে।

জানা যায়, সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। সদ্য শেষ হওয়া কোরবানির ঈদে তিনি আলোচনায় আসেন কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকার খাসি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে খবর বের হয় খাসিটি ১২ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক কিনেছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাকে নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। শেষ মুহূর্তে জানা যায় বুকিং মানি দিলেও খাসিটি নেননি ক্রেতা।

সাদিক এগ্রোর উচ্ছেদ অভিযানে উৎসুক জনতার ভিড়

সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ইমরান হোসেন গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। খবর আছে, মাঝারি খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে কোরবানির সময় গরুর দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ফলে ক্রেতারা গরু কিনতে অনুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এতে প্রান্তিক খামারিদের অনেক গরু অবিক্রিত থেকে যায়। পড়ে এই মাঝারি খামারিরা ওই গরু কিনে এনে এক বছর পর বেশি দামে বিক্রি করে।

নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে বিক্রি করতেন বাংলাদেশি কাউবয় নামে খ্যাত ইমরান হোসেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে ব্রাহামা গরুর বীজ এনে অন্যান্য গাভীর সঙ্গে ‘ক্রস’ করানো হয়। তাতে যে গরুর জন্ম হয়, তা ব্রাহামা জাতের ৪০-৫০ শতাংশের কাছাকাছি হয়। তাহলে শতভাগ ব্রাহামা সাদিক এগ্রোর ইমরান কীভাবে পেলেন, আর শতভাগ ব্রাহমা জাতের গরু হলেও তার দাম কি কোটি টাকা হওয়া সম্ভব।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, কোটি টাকা একটি গরুর দাম হতেই পারে। তবে তা কোনোদিনই মাংসের গরুর জন্য হতে পারে না। যদি সেই গরুটি প্রজননের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলেই শুধু কোটি টাকা হতে পারে দাম।

ক্রেতাদের অভিযোগ, দেশের বাজারে কোরবানির সময় গরুর দাম বৃদ্ধির পেছনে সাদিক এগ্রোর হাত রয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, কি করে একটি মাংসের গরুর দাম কোটি টাকা হয়। তাই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ছিল তাদের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর