নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের বেনাপোল বন্দর পরিদর্শন

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর) | 2024-06-28 22:54:22

বেনাপোল (যশোর) বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বানিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিনি তার সফরসঙ্গী নিয়ে বন্দর পরিদর্শন করেন।

এর আগে সচিব বেনাপোল বন্দরে পৌছালে বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম তাকে ফুল দিয়ে অভ্যার্থনা জানান।

বন্দরের পরিদর্শন স্থানগুলোর মধ্যে ছিলো, নবনির্মিত বেনাপোল বন্দর কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, গুরুত্বপূর্ণ শেড, ইয়ার্ডসহ বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে সরেজমিনে দুই দেশের মধ্যে বানিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন।

বন্দর পরিদর্শনকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার , উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নয়ন কুমার রাজবংশী, কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের পিডি ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম, বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের ম্যানেজার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস রহমান এর সত্তাধিকারী, প্রকৌশলী এবং বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দিন দিন বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এতে সরকার বন্দরের উন্নয়নে বর্তমানে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব অনুধাবন করে অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দেয়। গেল ১৫ বছরে বন্দর আধুনিকায়নে সরকারী ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ব্যয় করা হয় ৬৮৫ কোটি টাকা। যা ইতিপূর্বের সরকারগুলো এ উন্নয়ন করতে পারেনি।

সুত্র জানায়, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪১ একর জমিতে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল, যা ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। যেখানে একসাথে ভারতীয় ১২০০ ট্রাক পার্কিং, ফায়ার ষ্টেশন, ভারতীয় ট্রাক চালকদের জন্য ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা, কভিড বুথ, ১০০ এর অধিক কিচেন, ৩টি আধুনিক টয়লেট কমপ্লেক্স ও সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে।

এছাড়া নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ১৯৩ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক বাস ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, আরো ৩০ কোটি টাকার জায়গা অধিগ্রহন, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা, ৩৯ কোটি টাকার বাউন্ডারী ওয়াল, ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে স্টাফ ডরমিটোরি ভবন এবং ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় পণ্য পরিমাপের ২টি স্কেল। এসব অবকাঠামো ও অটোমেশন সুবিধায় ইতিমধ্যে রাজস্ব ও আমদানি রফতানি বানিজ্যে গতি বাড়িয়েছে বন্দরে। নির্মানধীন কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল চালু হতে পারে জুলাইয়ে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর