রংপুরে নির্মাণ শ্রমিকদের ন্যায্য বকেয়া পাওনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: শ্রমিকদের ন্যায্য বকেয়া পাওনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ছবি: শ্রমিকদের ন্যায্য বকেয়া পাওনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের ঐতিহ্যবাহী 'লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ' এর নির্মাণাধীন দ্বিতীয় নতুন ভবন এবং অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের কাজের মজুরীর বকেয়া পাওনা টাকা আদায়ের দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে রিপোর্টার্স ক্লাব, রংপুরের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রংপুর বিভাগীয় শহর ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন টাইলস মিস্ত্রি মাসুদ রানা বাবু, সেনিটারি মিস্ত্রি মাসুদ রানা বাবু, ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি আবুল হোসেন, রঙ মিস্ত্রি ইউসুফ আলী, থাই মিস্ত্রি মিজু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, 'লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর'এর দ্বিতীয় নতুন ভবন এবং অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নির্মাণাধীন যাবতীয় কাজের পারিশ্রমিক হিসাবে মজুরীর অর্থ ১৪,৭২,৯৮২.০০ (চৌদ্দ লক্ষ বাহাত্তর হাজার নয়শত বিরাশি টাকা) পাওনা রয়েছে। বিগত ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও প্রাক্তন কমিটির নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বৈঠকে আলোচনার পর জানান, বিশেষ কারণে দুই দিনের জন্য চলমান ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। দুই দিন পরই আবারও কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন কাজ শুরু না করে গত ১লা রমজান থেকে শুরু শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের পাওনা মজুরির টাকা না দিয়ে দিনের পর দিন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ হয়রানি করাচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের দু'গ্রুপের কাছেই ধর্ণা দিয়ে আমারা বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছি। সাবেক ও বর্তমান কমিটির অভ্যান্তরিণ কোন্দলে দু'পক্ষের কোনো পক্ষই শ্রমিকদের টাকার দায় নিচ্ছে না। এতে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন পাওনাদার শ্রমিকরা।

এবিষয়ে সাবেক কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী জানান, আমাদের ক্ষমতা ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। আমাদের সময় পর্যন্ত নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের পাওনা ব্যাতিত যাবতীয় বিল প্রদান করা হয়েছে। তবে শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকা আমাদের ক্ষমতাকালীন বিল ভাউচার জমা না করায় তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। শ্রমিকদের দাবীকৃত টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সেটি দৃশ্যমান। ভুলে হয়তো শ্রমিকরা আমাদের সময় বিল দাখিল করেননি, তা বর্তমান কমিটি যাচাই বাছাই করে তাদের দাবীকৃত পাওনা টাকা পরিশোধ করবে এটাই নিয়ম। একইভাবে একই কথা বলেন, তৎকালীন নির্মাণ কমিটির আহবায়ক এনামুল হক সোহেল ।

লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের নবাগত দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ডা. আকতারুজ্জামান বলেন, পূর্বের কমিটির কাজের দায় আমি নিতে পারিনা। পূর্বের কমিটি প্রতিষ্ঠানে যে কাজ করেছেন, তারা সমস্ত বিলের টাকা তুলে নিয়ে গিয়ে সেই টাকার দায় আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সাবেক ও বর্তমান কমিটির কোন্দলে নির্মাণ শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়টি আমলে নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কমিটি গত ১৯ মে আমাদের বিল প্রদানের আশ্বাসে তারিখ দেয়। যথারীতি ১৯ মে ২০২৪ তারিখে সভাপতির চেম্বারে সাক্ষাত করতে যায় শ্রমিকরা, কিন্তুসেদিন তিনি অফিসে বসেন নাই। তবে বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষকের মাধ্যমে জানতে পারে বর্তমান কমিটি তাদের টাকা দিবে না। এমতাবস্থায়, তারা নিরুপায় হয়ে মজুরির পাওনা টাকা আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার জন্য রংপুর জেলা ও মহানগর প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও অদ্যবধি কোন প্রতিকার না পাওয়ায়। বর্তমানে অতি মানবেতর জীবন-যাপন করছে শ্রমিকরা।

সাংবাদিককে 'হাড্ডি' ভেঙে ফেলার হুমকি, সাবেক এমপির বিরুদ্ধে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সাবেক সাংসদ ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হাড্ডি ভেঙে ফেলার হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বাঁশখালীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে মামলাটি করেন বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি শফকত হোসাইন চাটগামী। তিনি স্থানীয় দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মোশাররফ হোসাইন খাঁন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ছিলেন সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী। বাদী শফকত চাটগামীর জনশক্তি কম থাকার সুযোগ নিয়ে আসামি মোস্তাফিজের স্বার্থে কাজ করার জন্য এজেন্ট নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। অপরদিকে শফকত হোসাইন চাটগামীসহ সবাই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিলেও মোস্তাফিজ অজানা কারণে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে শফকত হোসাইন চাটগামীকে সাথে নিয়ে মোস্তাফিজ হাইকোর্টে মামলা করার প্রস্তাব দিলে তিনি সেই প্রস্তাব মেনে নেননি। শফকত হোসাইন চাটগামী ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মোস্তাফিজ তাকে তখন থেকে শত্রু ভাবতে শুরু করেন।

গত ২৯ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলা সদরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বলেন, ‘সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছেন নিজের বাড়ি না করে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছেন। অথচ এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভণ্ডামি। দলীয় কার্যালয় নির্মাণে সাবেক এমপি ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছেন। খানখানাবাদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার ৭ লাখ টাকা, সাবেক চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরী ৮ লাখ টাকা, চেয়ারম্যান ইবনে আমিন ৫ লাখ টাকা, পুকুরিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা মাহবু্ব আলী ১১ লাখ টাকা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে অফিস সংলগ্ন ছড়ায় গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দেন। এভাবে আরও বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সাবেক এমপি মোস্তাফিজ।’

এই বক্তব্যের সূত্র ধরে সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এরই জের ধরে গত ৩০ জুন ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন মোস্তাফিজ। এসময় মোস্তাফিজ ফোন করে সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামীকে বলেন, ‘এগুলো কী লিখছস?’ জবাবে সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী বলেন, ‘আমি তো নিজ থেকে কিছু বানিয়ে লিখি নাই। গফুর সাহেব মিটিংয়ে যা বলছে, তা লিখছি আর কি।’ এরপর মোস্তাফিজ বলেন, ‘তোর মায়ের... লিখছস খাং...পোলা। আমি আসতেছি। সু..নির পোলা... আমি ঢাকা থেকে আসলে তোর হাড্ডি-মাংস ভেঙে ফেলবো।’

বাদীর আইনজীবী মোশাররফ হোসাইন খাঁন বলেন, শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বাঁশখালী থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে এবিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য জানতে পারেনি প্রতিবেদক।

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে ২০১৪ সাল থেকে টানা দুবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। অবশ্য ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে নির্বাচন কমিশন মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করে। এর আগে বাঁশখালী থানা কার্যালয়ে হাজির হয়ে মোস্তাফিজুর ওসি তোফায়েল আহমদের দিকে তেড়ে যান। এ কারণে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। তবে নির্বাচনে মুজিবুর রহমান ৫৭ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন।

মোস্তাফিজুর রহমানের কটূক্তি এবার প্রথম নয়। এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান সংসদ সদস্য থাকার সময় দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়েও কটূক্তি করেন। তখনো গাড়িতে বসে করা কটূক্তির ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ছাড়া প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে মিছিল করেও সমালোচিত হন তিনি।

;

চুয়াডাঙ্গায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃষ্ণপুরে ত্রিফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কৃষকসহ দুইজন জখম হয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেনের দলীয় অফিস। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা ও সংঘর্ষ এড়াতে মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রায়পুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত ছনু বিশ্বাসের ছেলে কৃষক ওসমান গনি (৫০) ও একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কীটনাশক ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মাঠে তিন ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তদন্তে আসেন চার সদস্যের একটি দল। এসময় কৃষকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বিক্ষোভকারীরা। এরই জের ধরে সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত কীটনাশক ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় রায়পুর বাজারে আমার দোকানে বসেছিলাম। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জতের দুই ছেলে সবুজ মির্জা ও সাচ্চু মির্জাসহ আরও কয়েকজন দোকানে ঢুকে আমাকে রড দিয়ে আঘাত এবং দোকান ভাঙচুর করে চলে যায়। মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

আহত কৃষক ওসমান গনি বলেন, ‘সকালে কৃষ্ণপুর গ্রামে ত্রিফসলি জমি নিয়ে কৃষকদের আন্দোলনে আমি ছিলাম। বিকেলে রায়পুর বাজারে এলে চেয়ারম্যানের দুই ছেলের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে আমার ওপর হামলা করে।’

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবাহ বিন মজিদ বলেন, ‘দুইজন জখম হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এদের মধ্যে একজন ওখান থেকে সেলাই দিয়ে এসেছে। অন্যজনের মাথায় আমরা কাটা দেখেছি। আপাতত তারা ভালো আছে। তবে সিটি স্ক্যান ব্যতীত আসলে কিছু বলার সুযোগ নাই। আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণে রাখব।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমি বাজার থেকে বাড়ি চলে আসার পর শুনতে পাই সাজ্জাদ ও আকবর মেম্বারের নেতৃত্বে আমার দলীয় অফিসে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আমার অফিসে থাকা একটি টেবিল, ২০টি প্লাস্টিকের চেয়ার ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে তারা।’

হামলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালে কৃষ্ণপুর গ্রামে যুগ্ম সচিব এসেছিলেন তদন্ত করার জন্য। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সেখানে ছিলাম। সে সময় উচ্ছৃঙ্খল মানুষ আমার গায়ে হাত তোলে। তারা হয়তো ভেবেছে আমি কোম্পানির লোকজনের সাথে আছি।’ তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমি বাজারে ছিলাম না। তাই কী ঘটেছে সঠিক জানি না।’ তবে তার অফিসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি আইনি পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, ‘সন্ধ্যায় একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এলাকায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমি ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থলে রয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

;

কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাপের দংশনে সোয়াদ ইসলাম (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। বুধবার দিবাগত রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর একটি সাপে তাকে দংশন করে।

নিহত শিশু সোয়াদ দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী চৌহদ্দিরমাঠ গ্রামের সুখ চাঁদ আলীর ছেলে।

দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহি জানান, সোয়াদ তার বাবা-মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিল। বুধবার দিবাগত রাতে ঘুমের মধ্যে সোয়াদকে কিছু একটা কামড় দেয়। এসময় শিশুটি টের পেয়ে চিৎকার দিলে বাবা-মা ঘুম থেকে জেগে শিশুটির পাশেই একটি সাপ দেখতে পাই। পরে সুখ চাঁদ ঘরে থাকা ধারাল হাসুয়া দিয়ে সাপটিকে কোপ দিলে সাপটি মারা যায়। এরপর সোয়াদকে দ্রুত দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মৃত্যু হয়। তবে কি প্রজাতির সাপ তা কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালে আসার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এন্টিভেনম প্রয়োগ চলছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

;

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে প্রতারণা, দুই ভুয়া চিকিৎসককে জরিমানা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৈধ কাগজপত্র ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে নাক, কান, গলা ও দাঁতের সেবা দেয়ার অপরাধে দুই ভুয়া চিকিৎসককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের চেম্বারও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুমারখালী পৌরসভার হলবাজার এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল আরাফাত জানান, বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আবুল বাসার সেতু মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা দেয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। তিনি প্রায় এক বছর ধরে হলবাজার এলাকায় ডক্টর ভেলি নামক চেম্বার খুলে এ কাজ করছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভুয়া চিকিৎসক সেতুকে ৫০ হাজার টাকা এবং একই এলাকায় বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়ায় দন্তজনিত রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করায় ভুয়া চিকিৎসক তারেক মাহমুদ তরুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। ভুয়া চিকিৎসক তারেক মাহমুদ তরু প্রায় তিন বছর ধরে জনসেবা ডেন্টাল কেয়ার নামক চেম্বার খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, তাদের চেম্বার দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এসময় তাকে সহায়তা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রিফাত হিমেল।

এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;