চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে কন্টেইনার-কার্গো হ্যান্ডলিং

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম | 2024-07-02 02:14:50

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে গত এক বছরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে। এর মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ আর কার্গো হ্যান্ডলিং ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে একই সময়ে দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর কমেছে জাহাজ আগমনের সংখ্যা।

সোমবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কন্টেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক)। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস। এ হিসাবে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩১৫ টিইইউস যা শতকরা হিসাবে আগের বছরের চেয়ে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।

এছাড়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং করেছে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন। এ হিসেবে বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ১০৫ মেট্রিক টন, যা শতকরা হিসেবে আগের বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে গত এক বছরে (২০২৩-২০২৪ অর্থবছর) বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১টি। এর আগে অর্থাৎ ২০২২-২০২৩ অর্থবছর বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৩টি। আগের অর্থবছরের চেয়ে এবার বন্দরে মোট ২৮২টি কম জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে।

জাহাজের আগমন কম হলেও কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধিকে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, ‘বন্দরের আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, অটোমেশন, অভিজ্ঞতা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। জাহাজ আগমন কোনো বিষয় না। বড় জাহাজ বেশি আসছে এজন্য। কিন্তু, আমাদের কার্গো এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। এটি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। আমরা চাই বড় জাহাজে বেশি পণ্য পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি করতে। এতে জাহাজ ভাড়া কম পড়বে, আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তথা দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।’

সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সদ্য বিদায়ী অর্থবছর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এতে বন্দরের আয় বাড়ছে। বে টার্মিনালে বিনিয়োগ বাড়ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী ফোরাম এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। জাতীয় বাজেট বাড়ছে। বাড়ছে আমদানি ও রপ্তানি। তারই প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি। আমরা আশাকরি, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল থাকতে চট্টগ্রাম বন্দর সক্ষমতার পরিচয় দেবে। বন্দর নতুন নতুন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির চাপ গ্রহণে প্রস্তুত থাকবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর