মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী | 2024-07-02 10:30:31

ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর আগে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ফুলগাজী বাজার, ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক প্লাবিত হয়।

সোমবার (১ জুলাই) রাত থেকে ফুলগাজী বাজারে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের ফলে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। তবে রাত ৩টার পর থেকে পানি কিছুটা নেমেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্যরাতে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এতে মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।


মোহাম্মদ রাজু নামে স্থানীয় একজন বলেন, ফুলগাজী সদরের উত্তর দৌলতপুরে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে আমার বাড়ি ও পুকুরসহ লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও ফুলগাজী সদরের দৌলতপুরে নুরুল করিমের বাড়ির উপর বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। তবে রাত ৩টার পর থেকে বন্যার পানি কিছুটা নেমেছে।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজারে প্রায় দুই ফুটের বেশি ওঠে গেছে। দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতপুর থেকে জগতপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।

পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাতের দিকে দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। এখন পর্যন্ত মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতবছর এ ভাঙন স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, রাত ১টা পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এখন পর্যন্ত ফুলগাজীর তিনটি ও পরশুরামের একটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশে ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লে বাঁধের আরও কয়েকটি অংশে ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, নদীর পানি বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে ইতিমধ্যে ফুলগাজী বাজার ও লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের গইয়াছড়া এলাকায় কহুয়া নদীর পানি প্রবেশ করছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর