গৃহবধুর গোসলের ভিডিও ধারণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলকে গণধোলাই

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় মোবাইলে গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ধারণের অভিযোগে মো. শাহ আলম (পুলিশ আইডি নম্বর-বিপি ৮৩০২০৮২৫৭১) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। ছাদ খোলা একটি বাথরুমে ওপর দিয়ে গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ধারণ করছিলেন এই পুলিশ সদস্য।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধা পৌর শহরের দক্ষিণ ধানগড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে কর্মরত আছেন। প্রাথমিকভাবে তার বাড়ি লালমনিরহিট জেলার বানভাসা গ্রামে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলের দিকে দক্ষিণ ধানগড়া এলাকায় ছাদ খোলা একটি বাথরুমে গোসল করছিলেন এক গৃহবধূ। এ সময় ছাদের উপর দিয়ে মোবাইলে ভিডিও করছিলেন ওই ব্যক্তি। এ সময় স্থানীয় এক লোক বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দেয়। এর এক পর্যায়ে ওই লোক নিজে পুলিশ দাবি করে পরিচয় দেয় এবং থানায় ফোন করলে সদর থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এদিকে এই ঘটনার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাধিক আইডি থেকে পোস্ট হয়। ফেসবুকে ওইসব পোস্টে দেখা হয়, গণধোলাইয়ের পর খালি শরীরে মাটিতে বসে আছেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শাহ আলম। তার চারপাশের ক্ষিপ্ত জনতা তাকে ঘিরে ধরে রয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাইবান্ধা সদর থানার এক এসআই বলেন, সিভিল পোশাকে ওই পুলিশ সদস্য এই ঘটনা ঘটায়। এ সময় স্থানীয়রা হাতে-নাতে আটক করে তাকে গণধোলাই দেয়। পরে সে নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিলে স্থানীয়রা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে ওই পুলিশ সদস্য নিজেই অসুস্থ্য জানিয়ে থানায় ফোন দিলে সদর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সেরাজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বার্তা২৪ বলেন, 'পুলিশ পরিচয়ে নিজেকে অসুস্থ্য জানিয়ে ফোন করলে আমরা তাকে ওই এলাকা থানায় নিয়ে আসি। তিনি পুলিশ কনস্টেবল নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।