দেশে বীজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় মাত্র ৩০ শতাংশ: পিকেএসএফ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-07-02 13:37:21

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর মহাব্যবস্থাপক ড. মো. আব্দুল মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু এ দেশে বীজের চাহিদার তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেশে বীজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় মাত্র ৩০ শতাংশ। আমাদের মূল উদ্দেশ্য উন্নত বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক ফলন করা। উন্নত বীজ ব্যবহার করলে ১৫ থেকে ২০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে "মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ -এর উদ্যোগ " শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে পল্লী কর্ম- সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট, সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে আরও বলা হয়, দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে দেখা যায় ২০২২-২৩ বছরে বিভিন্ন ফসলের মোট বীজের চাহিদা ১২ লাখ ১০ হাজার ৩৫১ মে. টন হলেও বিএডিসি, ডিএই ও বিএমডিএ এর উৎপাদিত বীজ এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত বীজের পরিমাণ ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৬৪ মে. টন। যা মোট দেশীয় চাহিদার মাত্র ৩০%।

শস্যভিত্তিক বিবেচনায় ধান, গম, ডাল ও তেল ফসলের ক্ষেত্রে এর শতকরা হার যথাক্রমে ৬৪, ৪৩, ১২ ও ২১। পিকেএসএফ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় ৪টি সহযোগী সংস্থা ও কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে ফসলের বীজ উৎপাদন (ধান, সরিষা, ডাল, পেঁয়াজ বীজ) করছে। তবে সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

এ সময় বক্তারা দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্তারোপ করার কথা বলেন।

পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এর উপদেষ্টা আনোয়ার ফারুক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণাইনষ্টিটিউট (ব্রি) এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সদস্য পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর