পর্যটন খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে: পর্যটনমন্ত্রী

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-07-02 20:19:17

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, পর্যটন খাতে পরিকল্পিত উন্নয়নে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। এতে সমগ্র বাংলাদেশকে ৮টি অঞ্চল ও ৫৩টি ক্লাস্টারে ভাগ করে ১ হাজার ৪৯৮টি পর্যটন সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে এই খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য আলী আজমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে দেশে ৫৫ লাখ ৭০ হাজার বিদেশি পর্যটক আগমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে এই খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটন খাত। সেই সময়েও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও আনুতোষিক পরিশোধ করেছে। সংস্থাটি নিজস্ব আয়ে পরিচালিত সরকারের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে নতুন নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্পট চিহ্নিতকরণ ও এর উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, সিলেট, কক্সবাজার, পটুয়াখালির কুয়াকাটা, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবনসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে মোট ৫৩টি পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এমিউজম্যান্ট পার্ক, বার, পিকনিক স্পট ও ডিউটি ফ্রিশপ) স্থাপন করা হয়েছে। যেগুলো দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর