রথযাত্রায় লাখো মানুষের ঢল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রথযাত্রা শুরু

রথযাত্রা শুরু

রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। ধর্মীয় এই উৎসব ঘিরে স্বামীবাগ ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে ঢল নেমেছে লাখো সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের।

রথযাত্রাটি রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টার পর রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। আগামী ১৫ জুলাই বিকেল ৩টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির হতে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে এসে শেষ হবে উল্টো রথযাত্রা।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে ইসকন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, এদিন বেলা ২টার পর থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন সাজে আসতে শুরু করে ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে। বিভিন্ন সাজে মন্দির প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হতে থাকে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। বেলা ৩টার পর শুরু হয় রথের দড়ি টানা। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে গেয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের উদ্দেশে শুরু হয় যাত্রা।

এদিকে রথযাত্রা ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদারে পাহারায় রয়েছে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

রথযাত্রায় ঢল নেমেছে লাখো সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের

সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে আনন্দমুখর পরিবেশে নয় দিনব্যাপী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসবের আয়োজন করা হয়।

সনাতনীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। এই বিশ্বাসেই প্রতি বছর পালিত হয় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা। বর্ণিল সাজ ও বাদ্যযন্ত্রের তালে রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে রথ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন।