চাঁনখারপুল সড়ক দখল করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল এবং সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটা সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) বিকাল ৩টায় শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের গেটের সামনে চাঁনখারপুল মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সড়ক অবরোধের কারণে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সড়কে যানবাহন আটকে আছে। মোড়ের মাঝখানে গোল করে বসে শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন। গাইছেন প্রতিবাদী গান। তাদের হাতে কোটাবিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড ছিল। অবরোধ চলাকালে পাশেই পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন।


এসময় শিক্ষার্থীরা ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা না মেধা মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে' সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে চাঁনখারপুল মোড়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি মূলত তিনটি। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার; চাকরির পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আযহার আগে ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়।

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে ছাত্রলীগসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার অভিযোগ করেন।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।