থানা হাজতে আসামির ঝুলন্ত মরদেহ, তদন্তে কমিটি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-07-03 20:51:57

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা হাজত থেকে মো. জুয়েল (২৬) নামের এক আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে নগর পুলিশের (সিএমপি) উত্তর বিভাগ এ কমিটি গঠন করে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো. জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ) আরিফ হোসেন ও পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেসুর রহমান।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানা পুলিশের দায়িত্বের কোনো অবহেলা হয়েছে কিনা-সেটা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা হাজতের দেয়ালের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আসামি জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, জুয়েলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে। তার বাসা নগরীর চান্দগাঁওয়ের খেজুরতলা এলাকায়।

চান্দগাঁও থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকা থেকে পরোয়ানামূলে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হাজতে রাখা হয়েছিল। সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।

ওসি আরও বলেন, হাজতখানার ভেতরে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে নিজের পরনের শার্ট ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন জুয়েল। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জুয়েলের মৃত্যুর খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান তার মা মিনারা বেগম ও বড় বোন সালমা আক্তার। সেখানে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সালমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, তিন দিন আগে তার ভাই বাসার বাথরুমে পরনের বেল্ট ঝুলিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের কারণে পারেননি।

তিনি বলেন, আমার ভাই আগে খারাপ ছিল। ভালো হওয়ার চেষ্টা করছিল। কিস্তিতে তাকে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছিল মা। ভাই চালায়নি। ভাড়ায় আরেকটি গাড়ি চালাচ্ছিল। মা ও ভাইয়ের কাছে ৬০ হাজার টাকার বেশি পেত পাওনাদাররা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর