বাংলার সৌরভ-জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিখোঁজ ৪ নাবিক

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলার সৌরভ-জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিখোঁজ ৪ নাবিক/ছবি: সংগৃহীত

বাংলার সৌরভ-জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিখোঁজ ৪ নাবিক/ছবি: সংগৃহীত

বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যাওয়া 'এমটি বাংলার সৌরভ' জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে জাহাজের ৪ নাবিকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ২টা ৩৫ মিনিটে জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

বিজ্ঞাপন

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. শাকিব মেহবুব জানান, রাত ২টা ৩৫ মিনিটে কোস্ট গার্ড টাগ শিপ বিসিজিটি প্রমত্ত এমটি বাংলার সৌরভের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এসময় কোস্টগার্ড জাহাজে থাকা মোট ৫০ জন ক্রু'র মধ্যে ৪৬ জন ক্রকে জীবিত উদ্ধার করেছে। বাকি ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে সর্বাত্বক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এর আগে, শুক্রবার মধ্যরাত পৌনে একটায় জ্বলতে শুরু করে 'এমটি বাংলার সৌরভ। বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত বিএসসির এ অয়েল ট্যাংকারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ও উদ্ধার অভিযানে কোস্ট গার্ড টাগ শিপ বিসিজিটি প্রমত্ত, মেটাল শার্ক ৩টি ও ৪টি টিম এ বিভক্ত হয়ে কাজ শুরু করে।

কয়েকদিনের ব্যবধানে দুর্ঘটনার শিকার জাহাজ দুটিই বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি)। 

এর আগে গত সোমবার এমটি বাংলার জ্যোতি জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুনের ঘটনায় তিনজন মারা যান। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। অনেকে এটিকে বাংলার জ্যোতিতে যেভাবে আগুন লেগেছিল সেটির সঙ্গে তুলনা করছেন।

রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থেকে লুৎফর হোসাইন নামের এক যুবক লাইভ দেন। তিনি নিজেও আরেকটি জাহাজে কর্মরত আছেন। পরে লুৎফর বার্তা২৪.কমকে বলেন, বঙ্গোপসাগরেন পারকি সৈকতের অদূরে নোঙর করা ছিল বাংলার সৌরভ। রাত পৌনে একটার দিকে জাহাজটিতে বিকট শব্দ হয়। পরে দেখি দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক সূত্র জানায়, একটি জাহাজের আয়ুষ্কাল থাকে ২০ থেকে ২৫ বছর। এরপর তা আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করতে পারে না। কিন্তু এমটি বাংলার জ্যোতি ও এমটি বাংলার সৌরভ নামের ট্যাংকার দুইটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল ডেনমার্কে। ট্যাংকার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে।