গরীব বলে মেয়ের হত্যার বিচার পাব না?

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 09:01:43

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডস্থ ভবনের তিনতলা থেকে দুই বছরের শিশু আয়শা‌কে ফেলে হত্যার ঘটনায় আহাজারি থামছে না মা সুলতানা রা‌জিয়ার।

নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সোমবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

রাজিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আজকে গরীব বলে কি আমার মেয়ের হত্যার বিচার পাব না? আমার দুধের শিশুকে মেরে ফেলেছে। আমার মেয়েটা হাঁটতেও পারত না, তাকে মেরে ফেলেছে।’

কান্নায় পাগলপ্রায় মা বলতে থাকেন, ‘শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই, সরকারের কাছে সন্তান হত্যার বিচার চাই।’

মায়ের অভিযোগ, তার দুই বছরের শিশু আয়েশাকে খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়েছিল পাশের চারতলা ভবনের মালিকের ভাই নাহিদ (৪৫)। ধর্ষণের পর আয়েশাকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে সে।

দীননাথ সেন রোডের (৮২/১/সি নম্বর) চারতলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকতো শিশু আয়েশা। তার বাবা গ্রিল মিস্ত্রির কাজ করেন। গেন্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের সামনে গলিতে খেলে বেড়াতো শিশুটি। অন্যান্য দিনের মতো গত ৫ জানুয়ারি বিকেলে খেলতে বের হয় সে। সন্ধ্যার দিকে চারতলা ভবনের সামনে আয়েশার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওযা যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী গেন্ডারিয়া থানা ঘেরাও করলে পুলিশ অভিযুক্ত নাহিদকে গ্রেফতার করে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী জোনের ডিসি ফরিদ আহমেদ গত ৯ জানুয়ারি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিলেন, প্রথমে নাহিদ কৌশলে পুলিশের কাছে ওই ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা এড়িয়ে যান। তবে তার বাড়ি থেকে ওই শিশুর প্যান্ট এবং পুতুল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে নাহিদের মেয়েকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। আদালতেও সে সাক্ষী হিসেবে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে পালানোর চেষ্টা করে আহত হয় নাহিদ। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর