চট্টগ্রামে পুলিশের কড়া নজরদারিতে বন্ধ কোচিং সেন্টার

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-28 01:47:39

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারির মুখে চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে গেছে কোচিং সেন্টারের সব কার্যক্রম। ফলে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারের এই পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) নগরীর চকবাজার ও জিইসি এলাকা ঘুরে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে।

জানা যায়, দায়িত্ব গ্রহণের পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেন।

এমনকি গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তিনি পরীক্ষার পূর্বে কোনো অনৈতিক পথের খোঁজ না করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধ জানান।

এমন নির্দেশনার পরে নতুন করে নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসক কর্তৃপক্ষ। ফলে কোচিং সেন্টারের নজরদারি বৃদ্ধির সাথে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়।

চকবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কোচিং সেন্টারে ঝুলছে তালা, কোনটিতে সরকারি নির্দেশনা আদেশের কপি সাঁটানো হয়েছে, কোনটিতে প্রবেশ মুখে প্রহরী বসে আছে। নেই শিক্ষার্থীদের আনোগোনা। জিইসি এলাকায় কোচিং সেন্টারের শাখা কার্যক্রমেও একই চিত্র।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচিং সেন্টারে সামনে এক প্রহরী আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত দুদিন ধরে ভবনটির বেশ কয়েকটি কোচিংয়ে কার্যত্রম চলছে না। এইচএসসি পরীক্ষার পরে খোলা হবে।

কোচিং সেন্টারগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হলেও সরকারের নির্দেশনা মানতে বাধ্য বলে জানান আরেকটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক তাসরিফ হক।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন পর্যন্ত সবধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। যদি কোনো তথ্য পেয়ে থাকি খোলা হয়েছে তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মনিটরিং করছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে জেলা প্রশাসক কোচিং সেন্টার থেকে শুরু করে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানালেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আমিরুল কায়ছার। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, সামগ্রিক বিষয়ে আমাদের মনিটরিং রয়েছে। আশা করছি এবার চট্টগ্রামে প্রশ্নফাঁসমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

মো. রেদওয়ান খন্দকার নামের এক অভিভাবক বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সাহসী ও ইতিবাচক। আশা করি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ চাকরি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে এমন ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর