বাবাকে হত্যার পর মরদেহ টয়লেটের কুয়োয় রাখলো ছেলে

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল | 2024-09-24 16:22:04

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বৃদ্ধ বাবাকে হত্যার পর মরদেহ উল্টো করে টয়লেটের কুয়োয় রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শামসুল মিয়া (৭৫) পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন। এর আগে গত শুক্রবার রাত থেকে শামসুল আলম নিখোঁজ ছিল। একই সাথে একমাত্র ছেলে সাত্তার মিয়াও (৪০) বাড়ি থেকে উধাও হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা সাত্তারকে ফোন দিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে আটক করার পর তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে মরদেহের সন্ধান মেলে।

নিহতের ভাতিজা লেবু মিয়া জানান, আমার চাচা শামসুল মিয়া একজন বৃদ্ধ মানুষ। সে একজন দলিল লেখক ছিলেন। আমার চাচাকে শনিবার থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। একমাত্র চাচাতো ভাই সাত্তারও নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চাচাকে না পেয়ে আমরা সোমবার দেলদুয়ার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে। রাতে সাত্তারের ফোন খোলা পেয়ে আমরা সাত্তারকে বাড়ি আসতে বলি। রাতে বাড়ি আসলে স্থানীয়রা সাত্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিজেদের টয়লেটের কোয়ার ভেতরে উল্টো করে রাখা আমার চাচার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত সাত্তারকে আটক করে দেলদুয়ার থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

হত্যার অভিযুক্ত ছেলে সাত্তার মিয়া বলেন, বাবা আমার পরিবারকে আলাদা করে দেয়। টাকা পয়সা দেন না। আমি ঠিকমতো সংসার চালাতে পারি না। শনিবার রাত ২টার সময় আমার ক্ষুধা লাগলে আমি আমার আব্বার ঘরে যাই। আমার আব্বা আমাকে জিজ্ঞেস করে ঘরে কেন এছেছিস? কথা প্রসঙ্গে তর্কাতর্কি হলে আমি আব্বার ওপরে উঠে বসি এবং হাত দিয়ে গলা চেপে ধরি। অনেক ধস্তাধস্তির পর একটি উড়না দিয়ে গলায় বেধে ফেলি। মৃত্যু নিশ্চিত হলে টয়লেটের কুয়োর মধ্যে মরদেহ রেখে আমি পালিয়ে যাই।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেব খান বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞেসাবাদের পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর