চার বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে রামকৃষ্ণ মঠ মন্দির

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-10-09 14:38:26

ঢাকের বাদ্যি, কাঁসার বাজনা, সঙ্গে শঙ্খ, মন্ত্রপাঠ, উলুধ্বনিতে উৎসবমুখর আমেজে দেবী দুর্গা প্রতিমার মুখ উন্মোচন করে, দেবীর বোধন দিয়ে সূচনা হলো হিন্দু ধর্মাবমলম্বীসহ সার্বজনীন বাঙালীর উৎসব দুর্গাপূজা।   

সকাল থেকে ঢাকে পড়েছে কাঠি। উৎসবমূখর পরিবেশ শুরু হয়েছে মন্দিরে মন্দিরে। মর্তে দেবীর মুখ উন্মোচন করে জাগ্রত করে শুরু হলো ষষ্ঠীর মাধ্যমে বোধন। এ উৎসব চলবে ৫ দিন ব্যাপী। শেষ হবে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে। তবে সনাতনধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তায় ও পূজায় যেকোন অরজকতা পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে চিত্রই দৃশ্যমান হয় রাজধানীর অন্যতম বড় ও প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মন্দির ও তৎসংলগ্ন এলাকায়। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মন্দিরে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।


রামকৃষ্ণ মঠ  মিশনের মন্দিরে ষষ্ঠির মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে শুরু হয়েছে দূর্গাপূজা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতিতে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ মেতেছেন উৎসবের আমেজে। প্রতিমার মুখ দেখে প্রণাম করছেন সনাতনী হিন্দুরা সাথে পুরোহিত করছেন মন্ত্রপাঠ, ঢাকিরা বাজাচ্ছেন ঢাক। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর চার বাহিনী সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, আনসার বাহিনী।

ষষ্ঠীতে ছোট দুই নাতিসহ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিমা দেখাতে শাহাজাদপুর থেকে রামকৃষ্ণ মঠের মন্দিরে এসেছেন উপেন্দ্র মজুমদার। সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, এবার আমাদের দেশ ও জাতীর জন্য মায়ের কাছে চাওয়া সবাই যেন সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে এই দেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। আমার নাতিরা যেন মানুষের মত মানুষ হয়।


নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বিঘ্নে যেন পূজা করতে পারি সেজন্য সবাইকে চেকিং করে ঢুকাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা। এখনো পর্যন্ত সব শান্ত-সুন্দর পরিস্থিতি দেখছি। 

মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক তিলক দেবনাথ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি আছে এখানে। সকলকে নিরাপদ রাখতে তাদের সঙ্গে আমরাও কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে মন্দিরসহ সনাতন ধর্মাবলম্বিদের নির্বিঘ্নে উৎসব পালনে চার বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে রামকৃষ্ণ মঠ মন্দির। সেখানে কর্তব্যরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) জসিম আল মামুন বার্তা২৪.কমকে জানান, আমরা মন্দিরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। এখানে সকলকে চেকিং করে তবেই যেতে হবে মন্দিরে। এমনিতেই এখানে নিরাপত্তা দেই আমরা এখন পূজার সময় বিশেষ উপলক্ষ্যে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের সাথে আরও তিন বাহিনী রয়েছে। তারাও নিরাপত্তায় আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। 

এসময় মন্দির সংলগ্ন রাস্তায় সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়িকে টহল ও দিতে দেখা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর