পূজার ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখরিত হবে কক্সবাজার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সৈকত

কক্সবাজার সৈকত

দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চারদিন ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠবে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বলে আশা হোটেল ব্যবসায়ীদের।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সরেজমিনে কক্সবাজারের তারকা মানের হোটেল ঘুরে দেখা গেছে, আগে থেকেই প্রায় সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। তবে মাঝারি মানের হোটেলগুলোতে এখনও কিছু কিছু কক্ষ খালি। তাও শিগগিরিই বুকিং হবে বলে জানিয়েছেন হোটেল মোটেল সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় দুর্গাপূজার ছুটিতে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে একটি বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আসা-যাওয়ায় নিয়মিত দুই জোড়া ট্রেনের পাশাপাশি ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ এই ট্রেন চলাচল করবে। এ সংক্রান্ত শিডিউল প্রকাশ করেছে রেলওয়ে।

ঢাকা থেকে রাতে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনটিতে আসন থাকবে ৫১৮টি। তবে দিনের বেলা কক্সবাজার থেকে ঢাকামুখী ট্রেনে আসন সংখ্যা থাকছে ৬৩৪টি। ট্রেনটি ১০ অক্টোবর রাত ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে পরদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। ১৩ তারিখ পর্যন্ত ট্রেনটি কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহন করবে।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, টানা ছুটির কারণে যাত্রী চাহিদার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চারদিনে মোট একটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরত্ব বেশি হওয়ায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে যাত্রীরা ট্রেনের নিরাপদ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণের এই সুযোগ পাচ্ছে। যেখানে ইতোমধ্যে সব টিকিটই বুকিং হয়ে গিয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছিলো বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ১২০ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে ছিল না পর্যটকের আনাগোনা। আগামী ১৩ অক্টোবর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হবে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান, যেখানে ১ থেকে ২ লাখ দর্শনার্থীর উপস্থিতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রস্তুত ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকদের জানমাল রক্ষাসহ, যেকোন প্রকার হয়রানি রোধে সাদা পোশাকে পুলিশ ও মোবাইল টিমের পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও সমুদ্র সৈকতের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে দর্শনার্থী এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।