বেসরকারি স্কেলে বেতন বহালের দাবি সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা | 2024-10-09 15:25:26

সরকারি হওয়ার পূর্বের বেতন স্কেল বহাল, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ বঞ্চিত না করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ।

বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানানো হয়।

আলোচনা সভায় সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারি কলেজবিহীন প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারিকরণ করা হলেও শিক্ষা খাতে তৎকালীন সময়ে সীমাহীন দুর্নীতি শিক্ষক স্বার্থ বিরোধী, বৈষম্যমূলক আত্মীকরণ বিধিমালা ২০১৮ এর কালো বিধির কারণে আত্মীকৃত শিক্ষক- কর্মচারীবৃন্দ সরকারি কলেজে চাকরি করেও বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার ও সরকারি সুবিধা হতে বঞ্চিত। শিক্ষক কর্মচারীদের আত্মীকরণে অতীতের মূলনীতি ও ধারাবাহিকতা অনুসরণ না করে আত্মীকরণ বিধিমালা ২০১৮ তে ভিন্ন নিয়ম চালু হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক ও মানবাধিকার পরিপন্থী। এই বিধিতে একটি অদ্ভুত পদসোপান তৈরি করা হযেছে যা সরকারি কলেজে বিদ্যমান নেই এবং এনাম কমিটির সুপারিশ পরিপন্থী। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কোনো পদোন্নতির বিধান রাখা হয়নি। অপরদিকে সরকারিকৃত কলেজে সপ্তম গ্রেডে কর্মরত প্রভাষক, সপ্তম গ্রেডে কর্মরত লাইব্রেরিয়ান, নবম গ্রেডে কর্মরত প্রদর্শক ও শরীর চর্চা শিক্ষক, দশম গ্রেডে কর্মরত সহকারী লাইব্রেরিযানদের বেতন অবনমন করে পদের প্রারম্ভিক ধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে, ফলে তাদের সবার বেতন আগের চেয়ে কমে গিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অপরদিকে অনার্স মাস্টার্স পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সেমিনার সহকারী সহায়ক কম্পিউটার অপারেটর পদ সমূহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালযের প্যাটার্নভুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাদের আত্মীকরণের বিধান রাখা হয়নি, বেসরকারি আমলের চাকরিকাল গণনার বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

বৈষম্য ও সমস্যাসমূহ সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট তাদের দাবিসমূহ হলো-

১. সরকারিকৃত কলেজে আত্মীকৃত শিক্ষকদের জন্য দ্রুত পদসোপান তৈরি সহ পদোন্নতির নীতিমালা প্রণয়ন করে প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক হতে সহযোগী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক হতে অধ্যাপক পদে এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযাযী দ্রুত পদোন্নতি দিয়ে বদলি ব্যবস্থা চালু করা ও অবিলম্বে বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক কর্মচারীদের অতি দ্রুততম সময়ে চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২. টাইম স্কেল প্রাপ্ত/সপ্তম গ্রেডধারী শিক্ষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও আর্থিক অবনমন রোধ করে বে-সরকারি আমলে বিদ্যমান স্বীয় গ্রেডে, স্বীয় স্কেলের চলমান ধাপে বেতনভাতাদি চালু রাখা এবং শতভাগ চাকরিকাল গণনা সহ জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা।

৩. অবিলম্বে নন ক্যাডার রিক্রুটমেন্ট রুলস এন্ড কম্পোজিশন তৈরি করে সে অনুযায়ী নন ক্যাডার শূন্য পদের বিপরীতে পিএসসির মাধ্যমে নন ক্যাডার শিক্ষক নিযোগের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ করা এবং নন ক্যাডার শূন্য পদে ক্যাডার পদ হতে অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ/সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক সহ কোনো পদে প্রেষণে কিংবা ডেপুটেশনে নিয়োগ প্রদান না করা।

৪. বেসরকারি আমলে কর্মরত কোনো শিক্ষক কর্মচারীকে প্যাটার্ন অথবা অন্য কোনো অজুহাতে বঞ্চিত না করা এবং অনার্স/ মাস্টার্স নিয়োগপ্রাপ্ত সেমিনার সহকারী, সহায়ক, কম্পিউটার অপারেটর আত্মীকরণ করার ব্যবস্থা করা।

৫. প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের তারিখ হতে কল্যাণ ট্রাস্টে এমপিও হতে কেটে রাখা অর্থ ফেরত দেওয়া।

সংগঠনের সভাপতি কে এম দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন মৃধা, সিনিয়র সহ সভাপতি আনিসুর রহমান,সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর