সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব ইনশাআল্লাহ। এ দায়িত্ব যখন আসছে, আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার এটা অত্যন্ত গুরু দায়িত্ব। এমন অবস্থায় দায়িত্ব এসেছে প্রত্যাশাও অনেক বেশি থাকবে। বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে। আমি সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করব, এটাই অঙ্গিকার।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচনে বিশ্বাসী। এটাই আমার মিশন। এটাই আমার ভিশন। এটাই আমার দায়িত্ব এবং এটাই আমার কমিটমেন্ট টু দ্য নেশন।
সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকবেই। আমি আগে সচিব হিসেবে স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। সেখানেও তো চ্যালেঞ্জ ছিলো। ভবিষ্যতে আরও আসবে। এটা মোকাবিলা করেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পেয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই বছরের মধ্যেই পদত্যাগ করে এই কমিশন। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরদিনই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।