রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুন নির্বাপণ হলেও কঠোর নিরাপত্তায় ঘেরা রয়েছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানটি। একই সঙ্গে সচিবালয়ে প্রবেশে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ লাইন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের আশেপাশের বিভিন্ন প্রবেশপথ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সচিবালয়ের সামনের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এদিকে প্রেসক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেইটে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ লাইন। এই ৫ নম্বর গেটটি দিয়েই সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভেতরে প্রবেশ কারানো হচ্ছে। ফলে গেটটির মুখে জোরদার করা হয়েছে চেকিং ব্যবস্থা। আর চেকিং করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভেতরে প্রবেশ কারানো ফলেই দেখা দিয়েছে দীর্ঘ লাইন।
এদিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা আগুন লাগার খবর পায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১টা ৫২ মিনিটে। দিবাগত রাত ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করে। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। সবশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিল।
আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। তার নাম সোহানুজ্জামান নয়ন। আজ সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, পানির পাম্প থেকে লাইনের সংযোগ দিতে সড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় সোহানুজ্জামান নয়ন আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হওয়ার তথ্য ছাড়া আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুন লাগার কারণও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।