ধর্ষণ ও ভিডিও ধারন: রিমান্ডে ছাত্রলীগ নেতা

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 11:38:27

প্রেমের ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারনের অভিযোগে মামলা হয়েছে রাসেল মিয়া (২১) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার নামে। পুলিশ ঐ ছাত্রলীগ নেতাসহ তার সহযোগী বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের দুই জনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক প্রধান আসামি রাসেল মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রোববার দুপুরে এজাহারভুক্ত দুই আসামি রাসেল মিয়া ও মঞ্জুরুল রানাকে রংপুর মেট্রোপলিটনের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত রাসেল মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং মঞ্জুরুল রানাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাসেল মিয়া ও মঞ্জুরুল রানা কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের ভিতরকুটি মাঠেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুই জন নিজেদেরকে সারাই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।

মঞ্জুরুল রানা তার ফেসবুক আইডিতে নিজেকে ১নং সারাই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে তুলে ধরেছেন।

এ বিষয়ে কাউনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুশান্ত সরকার বলেন, ‘রাসেল ও মঞ্জুরুল রানা ছাত্রলীগের কোনো কর্মী বা সমর্থক নন। সারাই ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। তবে কিছু ছেলে ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করছে।’

এদিকে মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রতিবেশী কলেজ ছাত্র রাসেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মেয়েটি প্রথমে সাড়া না দিলেও একপর্যায়ে রাসেল মিয়ার প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।

রাসেল প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার প্রেমিকাকে রংপুর শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। একই সঙ্গে বন্ধু মঞ্জুরুল রানাকে দিয়ে গোপন ক্যামেরায় সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারন করান।

এরপর থেকে রাসেল ঐ ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রেমিকাকে জিম্মি করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাসেল মেয়েটি জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

এতে করে মেয়েটি অনেকটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েন। হঠাৎ তার অস্বাভাবিক আচরণে পরিবারের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেয়েটি ধর্ষণের বিষয় পরিবারকে অবগত করেন।

এ ঘটনায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে রাসেল ও মঞ্জুরুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি রাসেল ও তার সহযোগী মঞ্জুরুলকে গ্রেফতার করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর