বিদেশে বসে মানব পাচার চক্র পরিচালনা করা হচ্ছে

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 07:58:25

মানব পাচার চক্রের চুনোপুটিরা ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যাচ্ছেন মূলহোতারা। কারণ মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে বসে মানব পাচারের মতো কাজ পরিচালনা করছে একটি চক্র। তাদের বিচার করতে হলে আন্তর্জাতিক ইস্যু তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে মানব পাচার সংশ্লিষ্ট এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানব পাচার শুধু বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা নয়। এটি এখন বিশ্বের অন্যতম বড় কয়েকটি সমস্যার একটি। অনেকেই বলছেন দেশে মানব পাচার চক্রের চুনোপুটিরা ধরা পড়ছেন। কারণ অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে যারা মূল হোতা তারা রয়েছে বিদেশে। মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া এমনকি লন্ডনে বসেও দেশে অনেকেই মানব পাচারের চক্র পরিচালনা করছেন। ফলে যারা দেশের এজেন্ট তারা ধরা পরেও লাভ হচ্ছে না। কারণ তাদের গ্রেফতারের পরই অন্য একজন হয়ে যাচ্ছেন নতুন এজেন্ট। এ সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে মানব পাচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক একটি ইস্যু তৈরি করতে হবে যাতে বিদেশে বসে যারা এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারাও যেন রেহাই না পায়। সরকার মানব পাচারের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তবে মানব পাচার সংক্রান্ত মামলার যে দীর্ঘ সূত্রিতা তৈরি হয়েছে তা সমাধান করতে হবে। তাছাড়া কিছু জেলায় ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, মানব পাচারের বিষয়ে আমরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছি। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যু এই ঝুঁকি আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে না যেতে পারে সে বিষয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময়। আমাদের প্রচুর অভিবাসী শ্রমিক রয়েছে। কিন্তু অভিবাসন ব্যবস্থা আশানুরূপ শক্ত নয়। অভিবাসন ব্যবস্থা আরও শক্ত করতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রতিটি জেলায় শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে, ভাষা শিখে বিদেশ যাওয়া উচিত।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের সিনিয়র ডিরেক্টর আসিফ সালেহ, হিউমেন রাইটস আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালমা আলী, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম হেড শরীফুল ইসলাম হাসান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর