খালাস পেয়েও কারাগারেই মারা গেলেন তোরাব আলী

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-24 17:15:13

পিলখানা হত্যা মামলায় সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে খালাস পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তার মৃত্যু হয়। গত ৩ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আলোচিত বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) বিদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় কারাগার থেকে মুক্তি পাননি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের (হাজারীবাগ) সাবেক সভাপতি তোরাব আলী। বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তোরাব আলী। তবে গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে তিনি খালাস পান। আদালতের রায়ে তোরাব আলীর খালাস পাওয়ার অর্ডার কারাগারে এসে পৌঁছায়নি জানিয়ে কারারক্ষী মো. হানিফ বলেন, অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গত বুধবার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। শুক্রবার ভোর ৬টায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তোরাব আলীর মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার আপিলের রায়ে তোরাব আলীকে খালাস দেন। এর আগে ওই মামলায় তাকে জজ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদ- ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর কারাদ- দেওয়া হয়েছিল। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় বিভিন্ন পদমর্যাদার ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন। এ মামলায় রাজনীতিবিদদের মধ্যে ২০০৯ সালে তোরাব আলী ও বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত দুজনকেই যাবজ্জীবন কারা- দেন। নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তোরাব আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা আগেই জানতে পারলেও তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি। মৃত তোরাব আলীর ভাতিজা শহিদুল আকন জানান, পিলখানার সোবেদার এডজুটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন তোরাব। তিনি ১৯৯০ সালে অবসরে যান।  মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের বাসিন্দা তোরাব আলী পরিবার নিয়ে হাজারীবাগ বিডিআর ৫ নম্বর গেট এলাকায় থাকতেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর