বিস্ফোরণে ৪ ছাত্র নিহত : ক্ষতিপূরণ দাবিতে অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-30 18:39:35

ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চার ছাত্রের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে এ অনশন শুরু করেন। অনশনের কারনে উপাচার্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান এবং প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত অনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কুয়েটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত বাংলাদেশের খবরকে বলেন, রোববার দুপুর ১টার মধ্যে নিহত ছাত্রদের প্রতিটি পরিবারকে কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অনশনে অংশ নেওয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সামিউল হক শামু ও ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র রিস্কি সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ইয়াসির আরাফাত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস বিস্ফোরণে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকা কুয়েট প্রশাসন দিয়েছে। বাকি টাকা কুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। তারপরও তাদের বাঁচানো যায়নি। অনশন কর্মসূচিতে কুয়েটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন। এদিকে কুয়েটের চার শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গতকাল শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনের শোক পালন করা হচ্ছে। ২৫ মার্চ রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। কুয়েটের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষবর্ষের চার জন শিক্ষার্থী প্রায় ১ মাসের ইন্ডাস্ট্র্রিয়াল এটাচমেন্টের (ইন্টার্ণি) জন্য ময়মনসিংহের ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকার একটি ৬ তলা ভবনের ৩য় তলায় অবস্থান করছিলেন। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন মো. তৌহিদুল ইসলাম। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মো. শাহীন মিয়া ২৮ মার্চ, মো. হাফিজুর রহমান ২৯ মার্চ এবং দিপ্ত সরকার ৩০ মার্চ মারা যান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর