মিয়ানমার বন্দুকের মুখে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারবে না

ঢাকা, জাতীয়

খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-25 01:45:31

মিয়ানমারে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান অধিকার গুরুত্বপূর্ণ। তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছোট ছোট জাতিসত্ত্বার অধিকার সংরক্ষণ করা। মিয়ানমার বন্দুকের মুখে একটি বহুজাতিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারবে না।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য সংসদের স্পিকার ইউ সান কি হা হাল সম্প্রতি দেশটির সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে সমস্যা হয় তাহলে বন্দুক নয় আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে। আলোচনার মধ্যে, আমাদের কী করা উচিত তার উপর পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে। আমার উপরের মনোভাব থাকলে আমি শুধু হুকুম দেব, নিজে বলব কিন্তু অন্যদের সাথে আলোচনা করবো না, তাহলে  কাজ হবে না।

স্পিকার ইউ সান কি হা হাল বলেন, গণতন্ত্র বা বহুজাতি, সংস্কৃতি, ধর্মকে মেনে না নেওয়ার অভাবের কারণে সশস্ত্র সংগ্রামের ঘটনা ঘটে, মিয়ানমার এর ব্যতিক্রম নয়। মিয়ানমারের মত বহুজাতিক দেশে আমাদের সকলের সমান অধিকার থাকবে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, সশস্ত্র সংগ্রাম ঘটে রাষ্ট্রের মধ্যে বৈষম্যের কারণে। যদি সকলের সমান অধিকার থাকে তবে কেউ অস্ত্র হাতে নেবে না। আমরা এদেশে একে অন্যের ভাই। মিয়ানমারের জাতিগত চলমান যুদ্ধ হচ্ছে ভাইদের মধ্যে যুদ্ধ।

আমাদের সংগ্রামীদের শত্রু হিসাবে নয় ভাই হিসাবে চিন্তা করে এর উত্তর খুঁজে পেতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ভুল। নিজের ভাইদের হত্যা করা ভুল। আমি সকল পক্ষকে ভ্রাতৃত্বের সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানাতে চাই। অস্ত্র ধরা কোনো সমাধা নয়। এর ফলে মানুষের দুঃখ ছাড়া অন্য কোন ফলাফল নেই।

তিনি বলেন, মিয়ানমার শান্তি পুনরুদ্ধার করতে হলে সকলের আগে সকল জাতিগত জনগণের সমতা অপরিহার্য। সমস্ত নৃতাত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর  সমান অধিকার থাকতে হবে। শুধুমাত্র যখনই সকল জাতি গোষ্ঠীর সমান অধিকার থাকবে তখন আমরা শান্তি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হব। উপরন্তু, যদি সকল পক্ষ নিজের দাবি ছেড়ে আলোচনায় বসে তবেই শান্তি পুনরুদ্ধারের সুযোগ থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর