মণ প্রতি গরুর দাম ২২ হাজার টাকার নিচে নয়!

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 06:57:56

আগামী সোমবার (১২ আগস্ট) দেশব্যাপী উদযাপিত হবে ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কোরবানির পশুর হাট বসেছে।

পশু হাটকে কেন্দ্র করে নানা হিসেব-নিকেশ শুরু করেছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। যদিও এখনো হাটের প্রথম দিক হওয়ার ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমন নেই। তবে এর জন্য থেমে নেই গরুর দামের হিসেব-নিকেশ।

গরুর বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার তারা অন্যবারের তুলনায় একটু ভিন্নভাবে গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন। এবার কেজি বা মণ অনুযায়ী দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে কেজি বা মণের হিসেবের দামকে এত প্রাধান্য দেওয়া হতো না।

বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আফতাবনগরে অবস্থিত কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, 'গরু পালন থেকে শুরু করে সব কিছুইতে তারা কেজি ও মণের দাম হিসেব করে টাকা খরচ করেছেন। তাই বিক্রির সময় তারা ওজন অনুযায়ী দাম হাঁকাবেন।'

ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের গাভী গরুর দাম কেজি বা মণ প্রতি হিসেবে যথাক্রমে ৪৫০ টাকা ও ২২ হাজার টাকার নিচে বিক্রি করবেন তারা। অন্যদিকে ষাঁড় ও বলদ গরুর যথাক্রমে ২৪ থেকে ২৬ হাজার টাকা মণে দাম হাঁকাচ্ছেন।

সেই অনুযায়ী, ৩-৫ মণ ওজনের গাভী গরুর দাম হবে যথাক্রমে ৬৬ হাজার ও এক লাখ ১০ হাজার টাকা। এছাড়া একই ওজনের ষাঁড় গরু দাম যথাক্রমে ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা।

পাবনার গরুর ব্যাপারী মো. শামসুল হক এবারে হাটে ১৭টি দেশি গরু নিয়ে এসেছেন। এবারের পশুর হাট সম্পর্কে তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'হাটে এবার গরু মণ ও কেজির হিসেবেই আমরা বিক্রি করব। কেননা আমরা কেজি বা মণের হিসেবেই প্রতি গরুতে টাকা খরচ করেছি। একটি পালন করতে কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ৫৫০ টাকা খরচ হয়েছে। তাই গাভী গরু ৫৫০ ও ষাঁড় গরু ৬০০-৬৫০ টাকা নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়।'

কুষ্টিয়ার ব্যাপারী সাইফুল ইসলাম ৪৮টি গরু নিয়ে এসেছেন। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'দিন দিন গরু পালনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। গত বছর মণ প্রতি ১৭ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারলেও এবার ২৪-২৫ হাজারের নিচে ষাঁড় গরু বিক্রি করা যাবে না। এর কমে বিক্রি করলে আমাদের বড় ধরনের লোকসান হবে।'

তবে সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে আগত কয়েকজন ব্যাপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছ, এখন হাট সবে মাত্র জমেছে। তাই এখন দামের বিষয়ে নানা কথা শোনা যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হবে। চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম হলে বেশি দাম হবে আর চাহিদা অনুযায়ী যোগান বেশি হলে কম দামে বিক্রি হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর