যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, দোয়া ও প্রার্থনা, এক মিনিট নীরবতা পালন, বঙ্গবন্ধুর পোর্ট্রেটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও মোমবাতি প্রজ্বলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা ও স্মরণ সভা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার ভোরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। এ সময় ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, অতিথি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণসহ অন্যান্য শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। প্রার্থনা শেষে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন।’ শোক দিবসের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশ ও প্রবাসে বসবাসরত সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনামের ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন ও ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হোরহে রন্ডন উজকাটিগুই। তিনি তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্য যারা এই দিনে শাহাদাৎ বরণ করেন, তাঁদের প্রতি শদ্ধা জ্ঞাপন করেন।